সংসদ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী তৎপরতাকে নতুন প্রজন্ম কর্তৃক ঘৃণা প্রদর্শন ও জঙ্গীবাদিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার মানসিকতা তৈরি করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গী তৎপরতা এবং মানুষ হত্যার মতো মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মুখোশ উন্মোচনসহ প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীকে অবগত করেছে। যার ফলে সহিংস ও অমানবিক কর্মকা-ের বিরদ্ধে জনমত গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ন্যাপের সংসদ সদস্য মিসেস আমিনা আহমেদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি জানান, দেশে জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে যুবসমাজ ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যেন জড়িত হতে না পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সকল ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়া জাতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ জঙ্গী তৎপরতার বিরুদ্ধে বিপুল জনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক দেশ। জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে যুবসমাজ ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যেন জড়িত হতে না পারে সে বিষয়ে জনসচেনতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবসা নেয়াসহ গণযোগাযোগ অধিদফতরের সহায়তায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনলাইন পত্রিকার হালনাগাদ কোন তালিকা সরকারের কাছে নেই। তবে অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য তথ্য অধিদফতরের মাধ্যমে আবেদনকৃত অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। সংবিধান অনুযায়ী বাক ও ভাবপ্রকাশের ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের আওতায় ইতোমধ্যে একটি ‘ট্রাস্টি বোর্ড’ গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ভবনে ট্রাস্টির অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপনসহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে।
