ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটায় অচেতন অবস্থায় আইনজীবীর সহকারী উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

কুয়াকাটায় অচেতন অবস্থায় আইনজীবীর সহকারী উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ অপহরণের ১২দিন পর হাত পা ও গলায় রশি দিয়ে বাঁধা অচেতন অবস্থায় আইনজীবী সহকারী ছালেক আকনকে সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। জরুরী চিকিৎসা দেয়ার পরে তাকে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত করেছেন। শুক্রবার সকালে কুয়াকাটা সৈকতের মাঝিবাড়ি এলাকায় জালের খুটার সঙ্গে আটকে থাকা ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ছালেককে উদ্ধার করেন। ছালেকের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার মনসাতলী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল মজিদ আকন। জানা গেছে, পেশায় আইনজীবী সহকারী ছালেক আকন (৫৫) গত ১৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন সড়ক থেকে অপহৃত হন। বরগুনা শহর থেকে ইজিবাইকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গতি রোধ করে ইজিবাইক থেকে জোর করে নামিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে। জবরধ্বস্তি করে একটি ইনজেকশন তার শরীরে পুশ করলে অচেতন হয়ে পড়েন ছালেক আকন। জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পান, বরগুনার খাকদোন নদীতে একটি ট্রলারে তাকে তোলা হয়েছে। ওই ট্রলারের কয়েকজন লোক রয়েছে। ট্রলারটিতে আরও তিন/চার দিন তাকে আটকে রাখা হয়। ছালেক আকনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হয় অপহরণকারীরা। ট্রলারে থাকা সুজা নামে অপরিচিত একজনের সঙ্গে এসব কথোপকথন ছালেকের সামনেই অপহরণকারীরা করেছে। মূল অপহরণকারীরা এরপর চলে যায়। তখন সুজার কাছে ছালেক নিজের প্রাণ বাঁচাতে বহু আকুতি-মিনতি করেন। কিন্তু তার মন গলেনি। উল্টো ছালেককে আরও একটি চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করা হয়। এরপর কি ঘটেছে কিছুই জানেন না ছালেক। ধারনা করা হচ্ছে হাত-পা-গলা রশিতে বেধে সাগরে ফেলে দেয়া হয় ছালেককে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে। স্রোতের টানে ভেসে আটকে যায় জালের খুটার সঙ্গে। কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিব শরীফ ও তৈয়বুর রহমান জানান, স্থানীয় জেলেরা অজ্ঞাত হিসেবে লোকটিকে হাত পা ও গলায় রশি দিয়ে বাঁধা সম্পুর্ণ অচেতন অবস্থায় সাগরে জালের খুটা থেকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উদ্ধারকৃত ছালেক আকনের পড়শি সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা জানান, ছালেক মহুরী ১৬ তারিখ রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েছেন। এ বিষয়ে বরগুনা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ তাৎক্ষণিক গিয়ে ছালেক আকনের জবান বন্দি নিয়েছে। অপহরণের ঘটনাটি যেহেতু অন্য জেলার। সেখানে আইনী বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিবেন।
×