ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে বাবা-মাকে আটকে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২০ মার্চ ২০১৭

সান্তাহারে বাবা-মাকে আটকে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১৯ মার্চ ॥ বগুড়ার সান্তাহার শহরতলীর বড়আখিড়া গ্রামে সালিশ বৈঠকের নামে বাবা-মাকে বাড়িতে আটকে রেখে বৃষ্টি আক্তার নামের স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী আফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বাল্যবিয়ে দেয়ার নায়ক ওই গ্রামের ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বের লোকজন মাসাধিকাল ধরে ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে বিয়ে মেনে নেয়ার জন্য চাপ ও হুমকি দিচ্ছে। জানা গেছে, গ্রামের হাফিজার রহমানের মেয়ে সান্তাহার পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বৃষ্টি আক্তারকে তার নিজ বাড়ি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের মোতাহার আলীর ছেলে মোমেন অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় গ্রামের একাব্বরের বাড়িতে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য এখলাসের নেতৃত্বে গ্রামের কতিপয় যুবক তাকে উদ্ধার করে এক সালিশ বৈঠক বসায়। ওই বৈঠকে প্রথমে ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দীন বৃষ্টি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে বাবা-মা’র হেফাজতে দেয়া সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্যের কাছে অজ্ঞাত স্থান থেকে আসা ফোনে কথা বলার পর তার সিদ্ধান্ত পরির্বতন করে। এবার তিনি বৃষ্টির বাবা-মাকে বাড়িতে আটকে রেখে স্থানীয় মাদ্রাসার মাওলানা মোস্তাাফিজুর রহমানকে ডেকে উক্ত অপহরণকারী মোমেনের সঙ্গে বৃষ্টির বিয়ে দিয়ে দেন। এ বিষয়ে মাওলানা মোস্তাফিজুরের সঙ্গে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি বেকায়দায় পরে বিয়ে পড়াতে বাধ্য হয়েছি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন কল রিসিভ করেননি। এদিকে এ ঘটনার পর অপহরণকারী মোমেন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হাফিজারের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়ে এ বিয়ে মেনে নিতে চাপ সৃষ্টি করছে। এমনকি হাফিজারের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
×