ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মা-ছেলে ক্যান্সার ও কিডনির রোগে ভুগছে, চিকিৎসায় সহায়তা দিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৫ মার্চ ২০১৭

মা-ছেলে ক্যান্সার ও কিডনির রোগে ভুগছে, চিকিৎসায় সহায়তা দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মা তাসলিমা আক্তার ও ছেলে তৈয়বের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। তাসলিমা আক্তার দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে এবং তার ছেলে তৈয়ব কিডনির জটিলতায় ভুগছে। স্ত্রী ও ছেলের চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য জিয়াউর রহমানের নেই। অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। আবু তৈয়বের বয়স যখন চার, তখন তার শরীরে ধরা পড়ে নেফ্রোটিক সিনড্রোম রোগ। তার কিডনি শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ধরে রাখার সক্ষমতা হারিয়েছে। ফলে শরীরে প্রচুর পানি জমে। চিকিৎসায় একটু হেরফের হলেই তৈয়বের শরীরও অস্বাভাবিক ফুলে বিবর্ণ হয়ে যায়। তাকে সুস্থ রাখতে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। তৈয়বের মা তাসলিমা আক্তার চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার কাজীর তালুক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাবা জিয়াউর রহমান একজন পল্লী­চিকিৎসক। তাদের আরেক ছেলে মমতাহিন প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। টানা সাত বছর তৈয়বের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আর্থিক টানাটানিতে পড়ে যায় পরিবারটি। কিন্তু বছরখানেক আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাসলিমা আক্তারের শরীরে। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ায় তার ডান হাতে পচন ধরেছে। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, পরে রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় তাকে ছয়টি কেমো দেয়া হয়েছে। এখন তার রেডিওথেরাপির প্রস্তুতি চলছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাসলিমা আক্তারকে ১৭টি হার্ট সেপটিল ইনজেকশন দিতে হবে। প্রতিটি ইনজেকশনের দাম ৮০ হাজার টাকা। এত টাকার ওষুধ কেনা আর সম্ভব হচ্ছে না জিয়াউর রহমানের পক্ষে। একদিকে ছেলে তৈয়বের চিকিৎসা, অন্যদিকে স্ত্রীর ক্যান্সার। ছেলে, না স্ত্রীকে বাঁচাবেন দিশেহারা জিয়াউর রহমান। এমতাবস্থায়, স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকল হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন জিয়াউর রহমান। চিকিৎসায় সহযোগিতা দিতে সরাসরি যোগাযোগ করুন এই মোবাইল নম্বরে ০১৭৩১৮০৬৬৫৩ আর সাহায্য দিন এই সঞ্চয়ী হিসাবে-তাসলিমা আক্তার, শিক্ষক হিসাব নং ১৪২০০১১০০৬৭২৮, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, আবুতোরাব বাজার শাখা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম। ঘোষণা : দৈনিক জনকণ্ঠ মানুষ মানুষের জন্য বিভাগে খবর প্রকাশের মাধ্যমে সহৃদয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়ে থাকে। সাহায্য সরাসরি সাহায্যপ্রার্থীর ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে অথবা সাহায্যপ্রার্থীর দেয়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে হবে। দৈনিক জনকণ্ঠ এ বিষয়ে কোন দায়ভার গ্রহণ করবে না।
×