ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাল ফ্যাশনে লেদার জ্যাকেট

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

হাল ফ্যাশনে লেদার জ্যাকেট

শীতের অন্যান্য পোশাকের পাশাপাশি আলাদাভাবে জ্যাকেটের চাহিদা অনেক আগে থেকেই রয়েছে। তবে প্রতি বছর জ্যাকেটের মান এবং স্টাইলে পরিবর্তন আসায় উঠানামা হচ্ছে চাহিদারও। শীতে তরুণদের সবচেয় পছন্দের তালিকায় রয়েছে জ্যাকেট। অন্যান্য শীতের পোশাকের চেয়ে জ্যাকেট বেশ স্মার্ট এবং স্টাইলিশ তরুণদের কাছে। তুলা কাপড়, জিন্স কাপড়. গ্যাবাডিং, এয়ার প্রুফ, লেদারের জ্যাকেটসহ বিভিন্ন জ্যাকেট এবার বাজার দখল করে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে লেদার জ্যাকেটের চাহিদা বেশি। ফ্যাশন সব সময় ফিরে ফিরে আসে। একটা সময় ছিল যখন তরুণদের প্রথম পছন্দ ছিল লেদার জ্যাকেট। মাঝখানে কিছুটা দিন চলছে অন্য জ্যাকেটের ট্রেন্ড। তবে এখন সময় আবার লেদার জ্যাকেটের। এবার বাজারে বিভিন্ন স্টাইলের লেদার জ্যাকেট বের হয়েছে। এসেছে বেশকিছু নতুনত্ব। জিন্স কিংবা গ্যাবাডিং প্যান্টের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যাবে এসব জ্যাকেট। আর আপনাকে লাগবেও বেশ ম্যানলি। লেদার বা চামড়ার জ্যাকেটগুলো মূলত কটন এবং সিনথেটিক্সের ওপর তৈরি হয়। বাজারে চামড়ার জ্যাকেটের মতো অনেকটা দেখতে র‌্যাক্সিনের জ্যাকেটও পাওয়া যায়। এ বিয়য়ে ক্রেতাকে একটু সাবধান হতে হবে যে কোনটা লেদারের জ্যাকেট আর কোনটা র‌্যাক্সিনের জ্যাকেট। মূলত ইউরোপিয়ান পপ-রক সঙ্গীতশিল্পীদের অনুসরণ করতে আমাদের দেশে তরুণদের মধ্যে লেদার জ্যাকেটের জনপ্রিয়তা পায়। কত তরুণই না বব ডিলান, জিম মরিসন, রজার ওয়াটার্স কিংবা মাইকেল জ্যাকসনের কনসার্টে তাদের গায়ের জ্যাকেট দেখে মুগ্ধ হয়েছে। আর মনে মনে কল্পনা করেছে নিজেকে তার স্থানে। ব্যক্তি মালিকানায় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ফ্যাশন ডিজাইনার জাহিদ হাসান লেদার জ্যাকেটের ফ্যাশন সম্পর্কে বলেন, লেদারের জ্যাকেট এখন তরুণ-তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আগে শুধু ক্যাজুয়ালি লেদারের জ্যাকেট পরত অনেকে কিন্তু এখন ফর্মাল পোশাকের সঙ্গেও পছন্দ মতো লেদারের জ্যাকেট বানিয়ে কিংবা কিনে পরছে।’ উপর থেকে দেখে অনেকেই ভাবেন লেদারের জ্যাকেট ঠা-া থাকে। মূলত চামড়া একটু শীতল থাকে তবে সেটা উপরের ভাগে। ভেতরের দিকটা থাকে উষ্ণ। কারণ লেদারের জ্যাকেটগুলোর ভেতরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে জুট কাপড়, উল কাপড়, টাপাটা, মকমল ও একলিক কাপড়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন লেদারের জ্যাকেটের দিকে ঝুঁকছে। এখন রাজধানীর বিপণি বিতানগুলোসহ দেশের বড় বড় শোরুমগুলোতে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের লেদার জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে। যা অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং বাহারি ডিজাইনের। জ্যাকেটগুলো ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য আলাদাভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। লেদারের জ্যাকেটগুলো বাংলাদেশে তৈরির পাশাপাশি চীন, থাইল্যান্ড এবং ইতালি থেকেও আমদানি হয়। তবে সেগুলে দেশী তৈরি জ্যাকেটের থেকে তুলনামূলক একটু বেশি দামী। গত বছরের ডিজাইনের সঙ্গে এবার বেশকিছু ডিজাইন যোগ হয়েছে জ্যাকেটে। বাজারে এসেছে চামড়ার ব্লেজার সঙ্গে জ্যাকেট। এছাড়াও ব্লেজারের নিচের ওয়েস কটিটাও এখন লেদারের পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এবার বেশি ব্যবহার হচ্ছে বাটনের জ্যাকেটগুলো। যদিও চাদিহা ভেদে জিপার বা চেন লাগানো সিস্টেমের জ্যাকেটগুলোও বেশ ভালই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলের বিক্রেতারা। এছাড়াও বরাবরের মতো এবার বিভিন্ন ডিজাইনের জ্যাকেটে থাকছে হুড বা ক্যাপ সিস্টেম। ব্লেজার বা জ্যাকেটের সঙ্গে হুড এমনভাবে লাগানো থাকে যেন আপনি চাইলেই হুড খুলে রাখতে পারেন আবার হুড লাগিয়েও পরতে পারেন। লেদারের ব্লেজার বা জ্যাকেটের মধ্যে বিভিন্ন রকমের কালারের না পাওয়া গেলেও কালো এবং চকলেট কালারটা বরাবরই ক্রেতাদের পছন্দের জায়গাটা দখল করে রয়েছে। তবে কিছু কিছু শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে গাঢ় বেগুনি, নীল, মেরুনসহ মিশ্রণ কালারের লেদার জ্যাকেট। পছন্দ মতো বিভিন্ন কালার এবং ডিজাইনের লেদারের জ্যাকেটগুলো গায়ে চাপিয়ে নিমিশেই চালিয়ে যেতে পারেন অফিস, পার্টি কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার আসর। এতে আপনাকে মানিয়ে যাবে যে কোন পরিবেশেই। লেদারের জ্যাকেটগুলোর চামড়া, ডিজাইন এবং মান ভেদে দাম রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর। নরমাল লেদার জ্যাকেটগুলো পাওয়া যাচ্ছে ২২০০ টাকা থেকে ৩৩৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আরও উন্নত জ্যাকেটগুলোর দাম ধরা হয়েছে ৩৫০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, মেট্রো শপিংমল, রাইফেল্স স্কয়ারসহ নিউমার্কেট, গাউছিয়া, এলিফ্যান্ট রোডের শপিংমল গুলোতে পাবেন বিভিন্ন দামের এবং ডিজাইনের এসব লেদার জ্যাকেট।
×