ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, তিন নারী আহত

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০১৬

বাগেরহাটে সংখ্যালঘু  পরিবারের ওপর হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, তিন নারী আহত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ জেলার চিতলমারীতে একটি জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের মারপিটে ৩ নারী আহত হয়েছে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার পর সংখ্যালঘু পরিবারটি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জাতীয় হিন্দু মহাজোট চিতলমারী উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ঘনটাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চিতলমারী সদর বাজার সংলগ্ন খড়মখালী গ্রামের উত্তম সাহা ও প্রতিবেশী মোস্তফা মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এ বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। একইসঙ্গে উভয় পক্ষের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে বেড়া দেয়া হয়। কিন্তু সেই আপোসনামা উপক্ষো করে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মোস্তফা মোল্লার ছেলে মাহাবুবর ও জামাই ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক উত্তম সাহার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা উত্তমের কাঠের তৈরি নির্মাণাধীন দোকান ঘর ভাংচুর করে। একই সঙ্গে হামলাকারীরা একটি গোয়াল ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পুরুষরা বাড়িতে না থাকায় হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে উত্তম সাহার স্ত্রী মিনা সাহা (৩৫), শাশুড়ি শ্যামলী হাজরা (৫৫) ও শ্যালকের স্ত্রী বনানী হাজরা (৩৮) আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ মোতায়েন করেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় হিন্দু মহাজোট চিতলমারী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক হরেন্দ্রনাথ রানা ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফুল্ল কুমার রায়সহ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের শতাধিক নেতাকর্মী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের বিচার দাবি করেন। পরবর্তীতে নেতৃবৃন্দ চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ জায়গাটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ জায়গায় বর্তমানে আদালত ও থানার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হামলার ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×