ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুইয়ে

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১১ নভেম্বর ২০১৬

হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুইয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশাল লক্ষ্য! সিরিজ বাঁচাতে হলে হারারে টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুইয়ের প্রয়োজন ছিল ৪৯১ রান। সময় ছিল যথেষ্ট, কিন্তু শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের স্পিন ভেল্কির সামনে তেমন কোন প্রতিরোধই গড়তে পারল না স্বাগতিকরা। পঞ্চমদিনে মাত্র একঘণ্টায়ই জিম্বাবুইয়ের দ্বিতীয় ইনিংস থমকে গেল ২৩৩ রানে। ২৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্টে ২২৫ রানে জিতেছিল তারা। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুইয়ে। মাত্র ৬৩ রানেই ৮ উইকেট নেন অধিনায়ক হেরাথ। এটি অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এ নৈপুণ্যে তিনি টেস্টে সাড়ে ৩ শ’ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। মুত্তিয়া মুরালিধরন মাত্র ৬৬ টেস্টে এ মাইলফলক পেরিয়েছিলেন, স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে হেরাথ সেটা করে দেখালেন। যুদ্ধটা মূলত হেরাথ আর জিম্বাবুইয়ের মধ্যেই হয়েছে হারারে টেস্টে। প্রথম ইনিংসে তিনি ৫ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুইয়েকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন ২৭২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন হেরাথ সেটাই অনুমেয় ছিল। তা সত্য হলো চতুর্থদিনে জিম্বাবুইয়ে ব্যাটিংয়ে নামার পর। ৪৯১ রানের বিশাল জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিনেই ১৮০ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুইয়ে। ম্যাচের পঞ্চমদিনে হেরাথের ভয়ঙ্কর বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৩ ওভার টিকতে পেরেছে বাকি তিন ব্যাটসম্যান। আর ৫৩ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস ২৩৩ রানে। ৬৩ রানে ৮ উইকেট নেন হেরাথ। এটি অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সেরা বোলিং। ভারতীয় পেসার কপিল দেব (৯/৮৩; ১৯৮৩) ও পাক পেসার ইমরান খান (৮/৬০; ১৯৮২) তার ওপরে। তবে স্পিনার অধিনায়ক হিসেবে হেরাথের এটিই টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে সেরা বোলিং। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫২ রানে ১৩ উইকেট নিয়েও তিন নম্বরে অধিনায়ক হিসেবে নৈপুণ্যের দিক থেকে। তার ওপরে আছেন ক্যারিবীয় পেসার কোর্টনি ওয়ালশ (১৩/৫৫; ১৯৯৫) ও পাক পেসার ওয়াকার ইউনুস (১৩/১৩৫; ১৯৯৩)। ক্যারিয়ারে এখন ৩৫১ উইকেট হেরাথের। মাত্র ৭৫ টেস্টেই এটা ছুঁলেন তিনি। তারচেয়ে কম টেস্ট খেলে ৩৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৬ জন। সবার ওপরে মুরালি মাত্র ৬৬ টেস্টে এই কীর্তি গড়ে। স্কোর ॥ শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস- ৫০৪/১০; ১৪৪.৪ ওভার (ধনঞ্জয়া ১২৭, গুণারতেœ ১১৬, থারাঙ্গা ৭৯; ত্রিপানো ৩/৭৯, ক্রেমার ৩/১৩৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২৫৮/৯ ডিক্লে.; ৮১.৪ ওভার (করুনারতেœ ৮৮, কুসাল পেরেরা ৬২; ক্রেমার ৪/৯১, মুমবা ৩/৬৭)। জিম্বাবুইয়ে প্রথম ইনিংস- ২৭২/১০; ৮২.১ ওভার (চারি ৮০, আরভিন ৬৪, উইলিয়ামস ৫৮; হেরাথ ৫/৮৯, দিলরুয়ান ৩/৫১) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২৩৩/১০; ৫৮ ওভার (আরভিন ৭২, উইলিয়ামস ৪৫, মুর ২০, এমপোফু ২০; হেরাথ ৮/৬৩)। ফল ॥ শ্রীলঙ্কা ২৫৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রঙ্গনা হেরাথ (শ্রীলঙ্কা)। সিরিজ ॥ দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ী শ্রীলঙ্কা। সিরিজ সেরা ॥ দিমুথ করুনারতেœ (শ্রীলঙ্কা)।
×