ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইয়াসির স্পিনে সিরিজ পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

ইয়াসির স্পিনে সিরিজ পাকিস্তানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কদিন আগে লঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরলিধরন বলেছিলেন, ইয়াসির শাহ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিং দারুণ উপভোগ করেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের অনেক রেকর্ডেই নাম লেখাবেন তারা। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ২০০ ও দুবাই টেস্টেই দ্রুত ১০০ শিকারে সেরাদের তালিকায় জায়গা করে নেন শত্রুদেশের দুই তারকা স্পিনার। আবুধাবি টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে স্বদেশী গ্রেটদের পাশে লেগস্পিনার ইয়াসির। তার ঘূর্ণিবিষে নীল ক্যারিবীয়রা হারল ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে। ৪৫৬ রানের অসম্ভব লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২২ রানে অলআউট হয় জেসন হোল্ডারের দল। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ২২৪। দুর্বার মিসবাহ-উল হকের পাকিস্তান ৪৫২ ও ২২৭/২ (ডিক্লেঃ)। উইন্ডিজ ব্যাটিং-লাইন পুড়িয়ে ছারখার করে ম্যাচসেরা ইয়াসির। এ নিয়ে ওয়ানডে, টি২০, টেস্ট মিলিয়ে নিজেদের শেষ টানা দশ আন্তর্জাতিক ম্যাচেই জয় পেল ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান! শারজায় রবিবার শুরু আনুষ্ঠানিতার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। জয়ের জন্য মঙ্গলবার শেষদিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ২৮৫ রান, হাতে ৬ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে ৪৫৫ রান তাড়া করে জেতা যে সম্ভব নয়, আগেরদিনই সেটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কাল প্রথম দশ ওভারেই সেটি যেন পানির মতো পরিস্কার! ইয়াসির শাহর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোস্টন চেজ (২০)। এরপর জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও শাই হোপের ব্যাটেই যা একটু লড়ল ক্যারিবীয়রা। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৫৭ রান। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা যখন প্রায় হাতের নাগালে তখন আউট হন ব্ল্যাকউড (৯৫)। তিনিও ফিরেছেন ইয়াসিরের শিকার হয়ে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই পঞ্চম উইকেটটিও পেয়ে যান পাকি লেগস্পিনার। ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে (১৬) আউট করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন তিনি। বিরতির পরও কিছুক্ষণ লড়েছে সফরকারীরা। দেবেন্দ্র বিশুকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন হোপ। কিন্তু জুলফিকার বাবরের বলে সিøপে ক্যাচ দিয়ে হোপ (৪১) আউট হওয়ার পরই কার্যত সব শেষ হয়ে যায়। ১১ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬- ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নিয়ে ‘নায়ক’ ইয়াসির। শোয়েব আকতার, ইন্তিখাব আলম, ইকবাল ওয়াসিম ও দানিশ কানেরিয়াদের পর পঞ্চম পাকিস্তানী হিসেবে টেস্টে দুবার ১০ শিকারের তালিকায় নাম লেখান ‘সেনসেশনাল’ এ লেগস্পিনার। সর্বোচ্চ ছয়বার এমন নৈপুণ্য উপহার দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান। পাঁচবার করে ওয়াকার ইউনুস, আব্দুল কাদির ও ওয়াসিম আকরাম। প্রথম ইনিংসে ইউনুস খানের সেঞ্চুরি (১২৭) ও মিসবাহর প্রায় সেঞ্চুরির (৯৬) ইনিংস দুটিও জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যাটিং অনুকূল পরিবেশে প্রতিপক্ষকে দু’বার অলআউট করতে পারটাকেই বড় করে দেখছেন পাক অধিনায়ক মিসবাহ। এর মধ্যদিয়ে ‘এশিয়ান টেস্ট অধিনায়ক’ হিসেবে সর্বাধিক ১০ সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়েন তিনি। পেছনে ফেলেন সৌরভ গাঙ্গুলী, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও জাভেদ মিয়াদাদকে। আরব আমিরাতে টেস্টের আগে উইন্ডিজকে ওয়ানডে ও টি২০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করে পাকিস্তান।
×