ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গৌরবের ৬০ বছরে কচি-কাঁচার মেলা

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৬ অক্টোবর ২০১৬

গৌরবের ৬০ বছরে কচি-কাঁচার মেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাচ, গান আর স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মেলার গৌরবোজ্জ্বল ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধন করা হয় বুধবার সন্ধ্যায়। শিশু-কিশোর সংগঠন কচি-কাঁচা মেলার নিজস্ব মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি ছিলেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সংগঠনের সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মেলার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড.এটিএম শামসুল হুদা ও সদস্য ডিডি ঘোষাল, মেলার সহ-সভাপতি দিল মনোয়ারা মনু, অধ্যাপক কাজী মদিনা ও আসমা আব্বাসী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুজ্জামান বলেন, যারা প্রথম থেকে কচি-কাঁচার মেলা সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত থেকে এর প্রাণ সঞ্চার করেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। কচি-কাঁচার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর সঙ্গে জড়িত-রোকনুজ্জামান দাদা ভাই, কবি সুফিয়া কামাল, আবদুল্লাহ আল মুতিসহ অনেক গুণী ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশে এ সংগঠনটির অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা রেখে সংগঠনটি আরও উত্তরোত্তর সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করি। এই সংগঠনের সদস্যদের দেশের প্রতি ভালবাসা জন্মাবে, তারা কোনদিন জঙ্গী হয়ে উঠবে না এবং দেশের সংস্কৃতিকে লালন করবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, এই প্রত্যাশা থাকবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। শিশুদের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তোলার জন্য কচি-কাঁচার মেলা কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি শিশুদের মনের মতো করে নানা আয়োজন করেছে। এরপর তিনি দাদা ভাইয়ের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দাদা ভাই গল্প করে প্রায়ই বলতেন, এই সংগঠনের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। কিন্তু কেউ-ই রাজাকার হয়নি। অন্যান্য বক্তারা বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে কচি-কাঁচার মেলা আজ ৬০ বছর পার করেছে। এ সংগঠনটিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে নিতে যা যা করণীয় তাই করতে হবে। মেলার সদস্য শিশু বক্তার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশাত শারমিন নিশি। আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতে ‘প্রথম প্রথম ঝরে ডানা’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সংগঠনের শিশু-কিশোররা। একের পর এক গান ও নৃত্যের ছন্দে পুরো মিলনায়তনে এক বিশেষ আবহের সৃষ্টি হয়। শিশুদের পরিবেশনায় সব শেষে পরিবেশিত হয় নৃত্যনাট্য ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে তৈরি এ নৃত্যনাট্য পরিচালনা করেছেন শুক্লা সরকার। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় থাকবে মেলার শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন শিল্পী আবুল বারক আলভী। আগামীকাল শুক্রবার সমাপনি দিনে থাকবে নবীন-প্রবীণদের মিলন সভা। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ এর সমাপনী ॥ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৬’র বুধবার ছিল সমাপনী দিন। এদিন বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান ও যুগ্ম সচিব তাহমিনা বেগম এনডিসি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শিশু বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখে রূপমঞ্জরী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীসহ চাঁদের হাট, খেলাঘর আসর, মতিঝিল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লিজা ললিতকলা একাডেমি ও উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল।
×