
জবি সংবাদদাতা ॥ জাগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজও অচল হয়ে পড়েছে পুরান ঢাকা। হলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা আজ পুরান পল্টন মোড়ে আবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালীয়ে ধর্মঘট পালন করছে।
সকাল আটটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করে। তারা মিছিল নিয়ে পোনে নয়টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়। রায়সাহেব বাজার মোড়ে পুলিশ আগে থেকেই কাটা তারের স্টীল দিয়ে বেরিগেট দিয়ে রাখে । শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে পৌছালে তাদের আটকাতে ব্যর্থ হয়। এরপর পুলিশ তাদের আর কোন বাধা না দিলে তারা নয়াবাজার, গুলিস্থান হয়ে সচিবলয়ের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে সেখানে পুলিশের বাধায় শিক্ষার্থীরা আর প্রবেশ করতে পারে না। তারা মিছিল নিয়ে সরাসরি পুরান পল্টন মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম মিছিলের এক অংশ নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহবানে তিনি মিছিল নিয়ে আবার পুরান পল্টন মোড়ে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের মিছিল আসার সময় ওই অঞ্চলে সমস্ত প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে মিছিল সময়, অন্দোলনকারী, পুলিশ কিংম্বা পথচারিদের মধ্যে কোন ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটতে দেখা যায় নি। অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সামনে থেকেই মিছিল নিয়ে আসে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা পুরানপল্টন মোড়ে অবস্থান করছে।
সোমবার হলের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বংশাল এলাকায় তাদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর তারা ২৩ ও ২৪ আগস্ট ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার তারা ছাত্র ধর্মঘট পালন করছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকরীরা।
জবি শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যাক্ত জায়গায় হল নির্মানের দাবিতে ২ আগোস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ২৩ দিন চলছে এই আন্দোলন। সরকার পক্ষের কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে হল আন্দোলনকে কেন্দ্রো করে অচল হয়ে পড়েছে পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্য। দৈনিক লক্ষাধিক টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা অতিসত্ত্বর এই আন্দোলনের একটা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। এ আন্দোলনে পুরান ঢাকার বাংলা বাজার, পাটুয়াটুলি, সদরঘাট, ইসলামপুর শ্যামবাজারসহ বাবুজারবের ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ রয়েছে।