ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জোটকে শক্তিশালী করতে জোরালো পদক্ষেপে অনাগ্রহী অনেক সদস্য দেশ

রাশিয়াকে প্রতিহত করতে চ্যালেঞ্জের মুখে ন্যাটো

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৪ জুন ২০১৬

রাশিয়াকে প্রতিহত করতে চ্যালেঞ্জের মুখে ন্যাটো

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় এক গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ বৈঠকের ছয় সপ্তাহ আগে সামরিক জোট অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রথমটি হলো, চারটি সামরিক ইউনিটের শেষটির নেতৃত্ব দেবে এমন কোন দেশ খুঁজে পাওয়া। এসব ইউনিট পোল্যান্ড এবং তিনটি বাল্টিক দেশে মোতায়েন করা হবে। কিন্তু সেটি ন্যাটোর সবচেয়ে ক্ষুদ্র সমস্যাই হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেন। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ঠা-া লড়াই শেষ হওয়ার পর থেকে যেমন উঁচুমাত্রায় বিদ্যমান ছিল, এখনও তেমনিই রয়ে গেছে। অভিবাসন সঙ্কট ইউরোপের মূল ভূখ-ের ভেতর বিভিন্ন দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ক্ষুণœ করেছে, ক্রিমিয়া ও পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা এবং সিরিয়ায় রুশ বিমানের বোমাবর্ষণ ন্যাটো দেশের উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার্য পরমাণু অস্ত্রের উপযোগিতা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছে। ক্রমবর্ধমান হুমকি সত্ত্বেও অনেক ইউরোপীয় দেশ এখনও ন্যাটোকে শক্তিশালী করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের বিরোধিতা করছে। অনেক দেশ অতীতে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সামরিক ব্যয় বাড়াতে দ্বিধাগ্রস্ত রয়ে গেছে। ইতালির মতো কোন কোন দেশ সেই ব্যয় হ্রাস করছে। ফ্রান্স জোটের প্রতি এর প্রথাগত সন্দেহবাদের প্রতিই আবার ঝুঁকে পড়ছে। দেশটি ন্যাটোকে আমেরিকান নীতি কার্যকর করার হাতিয়ার এবং এর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে গণ্য করে থাকে। রুশ সীমান্তবর্তী ওইসব দেশে চার কম্ব্যাট ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্তই বর্তমান সমস্যা। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে থাকবে ১,০০০ সৈন্য। এ সিদ্ধান্তকে মহাসচিব জেনস স্টলটেইনবার্গ ‘ঠা-া লড়াই শেষ হওয়ার পর যৌথ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সৈন্য সমাবেশ’ বলে অভিহিত করেন। ব্রিটেন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেকেই এক ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিতে সম্মত হলেও চতুর্থ ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেবে এমন কোন দেশ এখনও চোখে পড়ছে না। অথচ ওয়ারশতে ৮-৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠকের সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। বহুজাতিক বাহিনীর ছাপ রাখতে প্রতিটি ব্যাটালিয়নে ন্যাটোর সদস্য দেশ থেকে সৈন্য নেয়া হবে। কিন্তু ইতালি ও ফ্রান্সের মতো অন্য বড় বড় দেশ কোন ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দু’বছর আগে ওয়েলস বৈঠকে ইতালি সামরিক ব্যয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হ্রাস করেছে। ফ্রান্স নতুন ব্যাটালিয়নগুলোতে সম্ভবত মাত্র ১৫০ সৈন্য দেবে বলে ন্যাটো কর্মকর্তারা জানান। এর আগে দেশটি পোল্যান্ডের অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে সৈন্য মোতায়েনের ধারার প্রথমে বিরোধিতা করলেও পরে এতে সম্মত হয়। জার্মানি ছয় মাস আগে এরূপ সৈন্য মোতায়েনের বিরোধিতা করেছিল। তবে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে সংলাপের চেষ্টা করা হবে এ শর্তে জার্মানি ওই ধারণায় সম্মত হয়। জার্মানি এক ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিতেও রাজি হয়। কাজেই ন্যাটো মোতায়েন করবে এমন চতুর্থ ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেবে এমন দেশের খোঁজ করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই সেই দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে স্টলটেনবার্র্গ আস্থাশীল । -নিউইয়র্ক টাইমস
×