ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাট্যভূমির ‘রাজাবলি’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১০ মার্চ ২০১৬

নাট্যভূমির ‘রাজাবলি’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘সকল অশুভ আমাদের পদতলে’ সেøাগানে দেশীয় সংস্কৃতি লালন, প্রচার ও প্রসারে কাজ করছে নাট্যভূমি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ বৃহস্পতিবার নাট্যভূমির নতুন নাটক ‘রাজাবলি’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। নাটকটি দলের ১৯তম প্রযোজনা। রবীন্দ্রনাথ অনুসৃত ও বাংলা মুভমেন্ট থিয়েটার শিল্প-নির্দেশনায় ‘রাজাবলি’ নাটকটি রচনা করেছেন ড. মুকিদ চৌধুরী। নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যভূমি দলের প্রধান শাহজাহান শোভন। ‘রাজাবলি’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন কামরুল ইসলাম সরকার আদিল, এসএম আতিকুল ইসলাম, রাহিতুল আলম আপন, মুর্শিকুল আলম, রাজিব চন্দ্র শীল, এবিএম সাইদুল হক, শাহজাহান শোভন, শাহরিয়ার কবির আদর, সিফাত আরা ভূঁইয়া বন্যা, শারমিন কলি, শিশির আহমেদ সোহেল, ইমাম হোসেন ইমন, মোহসিনা শবনম, আয়েশা নাসরিন সুমি, আমেনা খাতুন মৌসুমী, রিয়া হাবিব, সোনিয়া আক্তার, বিদ্যুৎ রহমান, প্রতাপ চন্দ্র বর্মন, জহির উদ্দিন, তাসলিমা আক্তার দৃষ্টি, রায়হান, রিপন, ওমর ফারুক, নাজমুল হাসান শুভ, শাহাদাত হোসেন, সামছুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ। নাটকে নেপথ্যে কর্মীরা হচ্ছেন মীর ময়নুল হোসেন শিপলু, জাহাঙ্গীর রনি, আবেদ রাব্বি নিঝুম, এইচ এম রিজভী প্রমুখ। নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস। নাটকটিতে প্রেমের অহিংস পূজার সঙ্গে হিংস্র শক্তি পূজার বিরোধিতাই মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পূজায় নৈবেদ্যর নামে পশুবলির মতো একটি জঘন্য প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার মহারাজা গোবিন্দমাণিক্য মন্দিরের পুরোহিত রঘুপতির ঈর্ষার কারণ হন। ঈর্ষাকাতর রঘুপতি দেবতার তুষ্টির কথা বলে ক্ষেপিয়ে তোলেন প্রজা-ভক্তদের এবং মহারাজাকে বলি বা হত্যা করতে এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। রঘুপতির সব ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে গোবিন্দমাণিক্য পশুবলি প্রথা বন্ধ করে অসুর শক্তিকে পরাস্ত করে মানবিক শক্তির উদ্বোধন ঘটান ত্রিপুরায়। এ ঘটনা নিয়েই নাটক ‘রাজাবলি’। মানুষ তার দুই চোখ দিয়ে সবকিছু দেখতে পায় কিন্তু নিজেকে চেনার জন্য তার প্রয়োজন হয় দর্পনের, যে নিজেকে চিনতে পেরেছে সেই সার্থক, সেই সার্থকতার খোঁজে, ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বললেই পরিবর্তন হয় না-এর জন্য প্রয়োজন ইতিবাচকভাবে পরিবর্তিত দেহ মন আত্মায় একাত্ম হওয়া। তাতেই পাওয়া যায় পূর্ণাঙ্গ জীবন। নানা কাহিনীর ঘাত-প্রতিঘাতের পর এই নাটকের শেষে দেখা যায় যে অজ্ঞান রাক্ষস পাষাণ রঘুপতির রক্ত গোমতীর জলের মতো সিক্ত করে পবিত্র ত্রিপুরার মৃত্তিকা, জয়ী হয় প্রেমের অহিংস পূজা, স্বতন্ত্র ভাবনা মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, জয়ী হন গোবিন্দ মাণিক্য। নাটকের গল্প যেমন উত্তেজনাপূর্ণ, তেমনি পোশাক ও অঙ্গসজ্জা একেবারেই এই সময়ের, সময়োপযোগী সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকের আশা জাগাবে এই প্রত্যাশা। বাংলা মুভমেন্ট থিয়েটার শিল্পধারার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে অঙ্গ ও জীবন সম্পর্ক; অর্থাৎ মানুষের বাস্তব সঙ্গে অঙ্গ-ব্যবহারে নন্দন-সৌন্দর্যের জগত সৃষ্টি করা, সঙ্গে থাকা আবশ্যক মানসিক ও কাল্পনিক জগতটিও; অর্থাৎ হৃদয়, বাসনা, অঙ্গ, অভিজ্ঞতা, কল্পনা, নন্দন, বুদ্ধিপ্রবৃত্তি, রুচি-এসবের সম্মিলিত সমাবেশ।
×