ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক শ্রমিকদের আয়ের ১১ শতাংশ গ্রামে যায়

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৮ মার্চ ২০১৬

পোশাক শ্রমিকদের আয়ের ১১ শতাংশ গ্রামে যায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের তৈরি পোশাক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের মোট আয়ের ১১ শতাংশ গ্রামের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। গড়ে প্রত্যেক শ্রমিক মাসিক প্রায় ১৩শ’ টাকা গ্রামে স্বজনদের নিকট পাঠান। পোশাক খাতের ৪২ শতাংশ শ্রমিক গ্রামে টাকা পাঠান। বেসরকারী সংস্থা এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়, যা সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে প্রকাশ করেন গবেষকরা। ‘বাংলাদেশের পোশাক কর্মী : পোশাক শিল্পের সামাজিক প্রভাব’ শীর্ষ গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. এ কে এনামুল হক। তিনি জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৭৩ পোশাক কারখানার ১২শ’ ৪ জন শ্রমিকের ওপর এ জরিপ জালানো হয়। এতে দেখা যায়, ৬৫ শতাংশ নারী ও ৩৫ শতাংশ পুরুষ পোশাক শিল্প করাখানায় কাজ করছেন। প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, শ্রমিকরা মোট আয়ের ৩০ শতাংশ ব্যয় করেন ভাড়া বাবদ। খাবারের জন্য ব্যয় ৪২ শতাংশ, শিক্ষার জন্য ছয় শতাংশ, চিকিৎসায় পাঁচ শতাংশ এবং বিনোদনের জন্য মাত্র এক শতাংশ টাকা ব্যয় করেন। গবেষণায় দেখা যায়, মোট শ্রমিকের ৭৪ শতাংশ পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন। আর পরিবার ছাড়া বিভিন্ন মেস ও হোস্টেলে থাকে ২২ শতাংশ। গবেষণার সূত্রে ধরে এ কে এনামুল হক জানান, এ খাতের ২৩ শতাংশ শ্রমিক দক্ষ। অর্ধদক্ষ শ্রমিক ৪২ শতাংশ এবং অদক্ষ ৩৫ শতাংশ শ্রমিক। পোশাক খাতের ৮৭ শতাংশ শ্রমিক মোবাইল ও বাসায় টেলিভিশন ব্যবহার করেন ৬৮ শতাংশ শ্রমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাঈদ ফারহাদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির অতিরিক্ত পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাবি শিক্ষক ড. সেলিম রায়হান, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের পরিচালক ড. অতনু রব্বানী ও এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের পরিচালক মিনহাজ মাহমুদ। খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে মাসব্যাপী ১৫তম খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে। খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এই মেলা আয়োজন করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা একটি নতুন উন্নয়ন চেতনা। এটি নতুন উন্নয়ন চেষ্টা সূচনা করবে। সেখানে বাণিজ্য বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে, বাণিজ্যের দরজাও অনেক বেশি খুলে যাবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বেশি বিনিয়োগের, এ জন্য বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী এবং সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা দরকার। ব্যাংকের ঋণ সহজ করতে হবে, পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের মানসিকতাও তৈরি করতে হবে। এ ছাড়াও দক্ষ শ্রমশক্তি বাড়াতে হবে। এদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার দেশের প্রতিটি জেলাতে টেকনিক্যাল স্কুল-সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলাতেও এগুলো প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ গণতন্ত্র সরকারকে বৈধতা দেয়, মানুষকে তার আশা-আকাক্সক্ষা প্রকাশের এবং বিভিন্ন পর্যায়ে তার পছন্দমতো নেতৃত্ব বাছার সুযোগ করে দেয়। খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, এস এম মোস্তফা রশিদী এমপি, মিজানুর রহমান মিজান এমপি, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ এবং খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন পণ্যের দেড় শতাধিক দেশী-বিদেশী স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মেলায় ক্রেতাদের সব রকম সুযোগ সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্য শিশুজোন, নামাজের স্থান, ওজুখানা এবং টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
×