ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় বছরে ছয় মাসও কর্মস্থলে ছিলেন না

এবার ধরা পড়েছেন সেই ডাক্তার ॥ কারণ দর্শাও নোটিস

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১ মার্চ ২০১৬

এবার ধরা পড়েছেন সেই ডাক্তার ॥  কারণ দর্শাও নোটিস

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ কর্মস্থলে ফাঁকি দেয়া সেই চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহেল কাফি এবার ধরা পড়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জালে। মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সরকারের বেতন-ভাতা গ্রহণ করে তিনি দিব্যি টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ শহরের বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করে আসছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের কয়েলগাতি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে ২৭ ফেব্রুয়ারি সেই চিকিসককে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়ে কড়াভাষায় কারণ দর্শাও নোটিস দিয়েছেন। রবিবার কারণ দর্শাও নোটিস প্রদানের পর সোমবারও তাকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া গেছে। এলাকার মানুষ বলেছেন, ফাঁকিবাজ এই ডাক্তার কর্মস্থ’লে যোগদানের পর থেকে ছয় বছরে সর্বমোট ছয় মাস কর্মস্থলে ছিলেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ডাঃ আব্দুল লাহেল কাফি ২০১১ সালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েলগাতি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এর পর তিনি কখনও বেতনে ছুটি, কখনও অবৈতনিক ছুটি আবার কখনও ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে ঢাকায় উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণ করেছেন। প্র্যাকটিস করেছেন সিরাজগঞ্জ শহরে এবং টাঙ্গাইলে বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। কালেভদ্রে তিনি কর্মস্থ’লে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে গেছেন। ২০১৩ সালের শেষের দিকে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে হৈচৈ পড়ে। তাকে নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়। এর পর কিছুদিন কর্মস্থলে সময় দিয়ে আবারও গা-ঢাকা দেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ শামসুদ্দিনও তার বেতন-ভাতা আটকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। কিন্তু কিছুতেই ডাঃ কাফির ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা রোধ করা যায়নি। অবশেষে বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নজরে এলে তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সরেজমিন তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদ মোঃ সাদেকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে শনিবারই সিভিল সার্জন কয়েলগাতি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে তাকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়ে রবিবার ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কড়া ভাষায় কারণ দর্শাও নোটিস প্রদান করেন। সোমবারও সেই চিকিৎসক কর্মস্থলে যাননি বলে সিভিল সার্জন নিশ্চিত হয়েছেন।
×