ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী ১৪ প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স পাচ্ছে না রাসিক

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

সরকারী ১৪ প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স পাচ্ছে না রাসিক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে কখনও ট্যাক্স দেয় না ১৪ প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সবগুলো সরকারী। দীর্ঘদিন ধরে ট্যাক্স না দেয়ায় তাদের কাছে রাসিকের পাওনাও দিন দিন বাড়ছে। এই ১৪ প্রতিষ্ঠানের কাছে এখন রাসিকের পাওনা ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৭ টাকা। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ শিমুল জানান, তারা একাধিকবার এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়েও লিখেছেন। কিন্তু ট্যাক্স পরিশোধের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রাসিকের রাজস্ব বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি পাওনা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে। ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৮০০ টাকার বিপরীতে সংস্থাটি কখনও কোন পাওনা পরিশোধ করেনি। এছাড়া রাজশাহী টেক্সটাইল মিলের কাছে পাওনা ২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৯৬ টাকা। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৩৮০, শিল্পকলা একাডেমির কাছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৯, রাজশাহী রাইফেলস ক্লাবের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৫৬, টেনিস কমপ্লেক্সের কাছে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৯, সার্ভে এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের কাছে ১২ লাখ ১১ হাজার ৪৬০, শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের কাছে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৭০০, জেলা ক্রীড়া স্টেডিয়ামের কাছে ৮১ লাখ ১ হাজার ৩২২, বরেন্দ্র একাডেমির কাছে ২ লাখ ৭ হাজার ৬৯২, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৫, রাজশাহী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের কাছে ৭৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮০৫, বিএডিসির কাছে ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ২২৫ ও বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী কার্যালয়ের কাছে রাসিকের পাওনা ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৬ টাকা। রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিজামুল আযীম জানান, সরকারী এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রাসিকের পাওনা আদায়ে তারা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাড়া পাননি। ওই টাকা পেলে রাসিক আরও উন্নয়নকাজ হাতে নিতে পারত বলে তিনি মনে করেন। বাণিজ্যমেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড় শেষ হতে চলেছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৬। ক্রেতা-দর্শকদের জোয়ারে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঢাকাবাসীর প্রাণের মেলা। মেলায় অংশগ্রহণকারী বাণিজ্যিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উপচেপড়া দর্শনার্থীর মাঝে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বরাবরের মতো এ বছরও ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ও দর্শনার্থীর জন্য বাণিজ্য মেলায় বিশেষ সেবা প্রদান করছে। গ্রাহক ও উৎসুক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ব্যাংকের প্যাভিলিয়ন। মেলায় এসে ব্যাংকিং সেবা ও তথ্য জানতে পেরে যেন আনন্দিত আগত দর্শনার্থীরা। বাণিজ্যমেলায় মূল প্রবেশদ্বারে ঢুকলেই চোখ আটকে যায় ইসলামী ব্যাংকের নয়নাভিরাম প্যাভিলিয়নে। নান্দনিক সৌন্দর্য ও বর্ণিল রংয়ের এক শিল্পকর্ম। বিস্তৃত দিগন্তের মমতামাখা কোলে ব্যাংকের প্যাভিলিয়নটি হাসিমাখা মুখে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে। প্রতীকী অর্থে বিশ্বমঞ্চে ১ হাজার সেরা ব্যাংকের অন্যতম ব্যাংকটির বিজয় হাসি। প্যাভিলিয়নের প্রবেশমুখে নানা বর্ণের ফুল কনক্রিটে মোড়ানো নগরবাসীকে একটু হলেও নিয়ে যায় প্রকৃতির কাছাকাছি। যেন শীতের হিমেল হাওয়ার দুলুনিতে রকমারী ফুলগুলো মেলায় আগত দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। প্যাভিলিয়নের একপাশে রয়েছে স্বচ্ছ পানির সুদৃশ্য ফোয়ারা। পাশেই গ্রাহকদের ব্যাংকিং প্রয়োজনে রয়েছে এটিএম বুথ ও টাকা জমাদান (আইডিএম) মেশিন। প্রকৃতি আর প্রযুক্তির যেন এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। দৃষ্টিনন্দন এ প্যাভিলিয়নে ছবি তোলার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে সব সময়। অনেকে আবার ছবিগুলো শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ইসলামী ব্যাংকের প্যাভিলিয়নে এসে ব্যাংকের নানাবিধ প্রোডাক্ট ও সেবা সম্পর্কে জানতে পারছেন। গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী ব্যাংকের যে কোন শাখায় নতুন এ্যাকাউন্ট খোলা, এমক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এ্যাকাউন্ট খোলা, এ্যাকাউন্ট ব্যালান্স জানাসহ জমা মেশিনের (আইডিএম) মাধ্যমে টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাচ্ছে এ প্যাভিলিয়নে। নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি এড়িয়ে ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন পণ্য বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা রাখছেন। মেলায় ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলছেন ব্যবসায়ী, গ্রাহক ও দর্শনার্থীরা। ব্যাংকিং সেবা ও তথ্য জানার সুযোগ পাওয়ায় দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে ইসলামী ব্যাংকের প্যাভিলিয়নে। -বিজ্ঞপ্তি
×