ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উদ্যোক্তাদের বোনাস শেয়ার তিন বছরের লক ইন চায় ডিএসই

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

উদ্যোক্তাদের বোনাস শেয়ার  তিন বছরের লক ইন  চায় ডিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি দুই বছরের মধ্যে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এ বোনাস শেয়ার বিক্রিতে তিন বছর লক-ইন চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নবেম্বর তারিখ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বোনাস শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়াসহ কিছু কারণে সূচকের বড় ধরনের পতন ঘটে। এই সময় ডিএসই সার্বিক সূচক প্রায় ৫০০ পয়েন্ট কমে যায়। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। তাই ডিএসই ট্রেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির দুই বছরের মধ্যে ঘোষিত বোনাস শেয়ার বিক্রিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের তিন বছর লক-ইনসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে গত ১২ নবেম্বর ১১টি প্রস্তাব দেয়। এদিকে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, ডিএসই’র পাঠানো প্রস্তাব নিয়ে আগামী কমিশন সভায় আলোচনা হবে। এ বিষয়ে ডিএসই উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান আইনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বোনাস লভ্যাংশ থেকে প্রাপ্ত শেয়ার বিক্রিতে কোন বিধি-নিষেধ নেই। আর এ সুযোগে নতুন কোম্পানিগুলোর বছর শেষে দেয়া বোনাস লভ্যা ংশের শেয়ার বিক্রি করে এসব উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বাজারের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর বোনাস শেয়ার ঘোষণার প্রবণতা বাড়ছে। সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু), ২০০৬ এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, আইপিও’র মাধ্যমে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে থাকা শেয়ার আগামী তিন বছর লক-ইন থাকবে। কিন্তু বোনাস শেয়ার বিক্রির বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই। তবে ডিএসই’র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইপিও প্রসপেক্টাস জমা দেয়ার পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত অন্য কোন সাধারণ ব্যক্তি কোম্পানিটির ন্যূনতম ৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের প্রাপ্ত বোনাস শেয়ার তিন বছর লক-ইন থাকবে। জানা যায়, ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল ১১ শতাংশ স্টক, ফারইস্ট নিটিং ১৫ শতাংশ স্টক, ইফাদ অটোস ৩০ শতাংশ স্টক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ৭ শতাংশ স্টক, ন্যাশনাল ফিড ১০ শতাংশ স্টক, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ শতাংশ স্টক, জাহিন স্পিনিং ১৫ শতাংশ স্টক এবং বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। এছাড়া বিএসইসি’র কাছে দেয়া ডিএসই’র প্রস্তাবে মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অনির্ধারিত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশনিং এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এবং মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩(৫) এর স্থগিতের মেয়াদ ২০২০ পর্যন্ত বাড়াতে বলা হয়েছে। অপরদিকে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত বাড়াতে এবং ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের সংজ্ঞা সংশোধনের জন্য বিএসইসি-কে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
×