এবারই প্রথম উন্মোচন করা হলো এ্যাপল পেনসিল। এ্যাপলের সম্মেলনে বরাবরই কিছু চমক থাকে। নতুন পণ্য এবং বৈশিষ্ট্যের সমাহার দেখা যায় এই আয়োজনগুলোতে। ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে এবারের আয়োজনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘এ্যাপল পেনসিল’। একই আয়োজনে প্রকাশ করা আইপ্যাড-প্রোর সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে এই স্টাইলাসটি। এ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস প্রথম যখন আইফোনের ঘোষণা দেন, তখন বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছিলেন যে এখন কেউ আর স্টাইলাস ব্যবহার করতে চায় না, হাতের আঙ্গুল দিয়েই সব ধরনের কাজ করা যাবে এখন থেকে। তবে এটি সঠিক যে ছবি সম্পাদনা বা গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য স্টাইলাস অত্যন্ত কার্যকরী। এ কারণেই হয়ত দেরিতে হলেও আবারও স্টাইলাস তৈরির কাজ শুরু“করেছে এ্যাপল। এ্যাপল পেনসিলটি কীভাবে ধরে রাখা হয়েছে বা কত জোরে চাপ দেয়া হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে এ কাজটি করা হয়। সাধারণ পেনসিল দিয়ে যেভাবে স্কেচ করা হয়, প্রায় একইভাবে স্কেচ করা বা ডিজাইন করা যাবে এই এ্যাপল পেনসিলের মাধ্যমে। মাইক্রোসফট অফিস, এ্যাডোবি ফটোশপের মতো প্রোগ্রামের সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে এই পেনসিলটি। পাশাপাশি অন্যান্য এ্যাপ তো রয়েছেই। এ্যাপল পেনসিলে ১২ ঘণ্টা চার্জ থাকে। আবার এর সঙ্গে যুক্ত স্পার্টকানেকটরের মাধ্যমে আইপ্যাড থেকেই চার্জ করা যাবে। আবার মাত্র ১৫ সেকেন্ড চার্জ করা হলেই এটি ৩০ মিনিট ব্যবহারের উপযোগী চার্জ হয়ে যায়। বর্তমানে এই এ্যাপল পেনসিলটি কেবল নতুন আইপ্যাডের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়। তবে আগের সংস্করণের আইপ্যাডের সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি। আগামী নবেম্বর থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই পেনসিলগুলো এবং প্রাথমিকভাবে এটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ ডলার। আইপ্যাডপ্রো এবং এ্যাপল পেনসিলের সমন্বয় ডিজাইনারদের জন্য বিশেষ উপযোগী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রচলিত এ ধরনের অন্য স্টাইলাসগুলোর যেমন আইএসকেএন স্মার্ট সারফেস বা ওয়ালকম ট্যাবলেটের বিকল্প হতে পারে এই নতুন এ্যাপল পেনসিল।
আইটি ডটকম
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: