ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মরা কার্তিকে মঙ্গা উধাও

শ্রমজীবীদের জীবনে এসেছে সমৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২২ অক্টোবর ২০১৫

শ্রমজীবীদের জীবনে এসেছে সমৃদ্ধি

জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট ॥ কার্তিক মাস মৌসুমী কৃষিকাজের সঙ্কট। কাজের সন্ধানে বাদুরঝোলা হয়ে বাস ট্রাকের ছাদে বসে দক্ষিণাঞ্চলে দলে দলে যেত রংপুর এলাকার শ্রমজীবীরা। এখন কৃষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। রংপুরের আট জেলায় শীত মৌসুমের শুরুতে শ্রমজীবী মানুষগুলো থাকত কষ্টে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা থাকত অর্ধাহার অনাহারে। স্বজনদের মুখে আহার তুলে দিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে গেছে শ্রমজীবীরা। এখন উত্তরাঞ্চলে সারাবছর কৃষিশ্রমিকের হাতে কাজ থাকে। বিশেষ করে অবহেলিত চরাঞ্চলের শ্রমজীবী কৃষিজীবী মানুষগুলোর জীবনে এসেছে সমৃদ্ধি। চর এলাকা এখন পরিণত হয়েছে শস্যভা-ারে। আশ্বিন-কার্তিক মাস ছিল রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও পঞ্চগড়ের দরিদ্র শ্রমজীবীদের কাছে অভিশাপ। উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবী কৃষকদের জন্য এসেছে লাগসই প্রযুক্তি। কৃষিচাষে এসেছে বৈচিত্র্য। সারাবছর কোন না কোন ফসল ফলাচ্ছে কৃষক। তাই সারাবছর কাজ থাকছে। চরাঞ্চলের মানুষ বালুময় চরকে কৃষিজমিতে পরিণত করেছে। বালুচরে তারা লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেচ ব্যবস্থা চালু করেছে। বালুতে এখন ধান, গম, ভুট্টা, সবজিসহ ররি ফসলের বাম্পার ফলন হচ্ছে। চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরে, নৌকা চালিয়ে জীবনধারণ করে থাকে। শীত মৌসুমে প্রতিটি জেগে ওঠা চরে ফলায় শস্য। চরের মানুষের জীবনে ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আনটাচ কম্পিউটারকে টাচে পরিণত করতে কুয়েট ছাত্রের সাফল্য স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের ছেলে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হানিফ আলী সোহাগ। লেখাপড়ার পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবন করতেই মনোযোগী বেশি। ইতোপূর্বে কম্পিউটারের লেজারবিহীন মাউস ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন। এবার ব্যবহৃত আনটাচ কম্পিউটার/ল্যাপটপকে টাচ পদ্ধতিতে পরিণত করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে আবার সাফল্য দেখালেন তিনি। হানিফ আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার উদ্ভাবিত সফটওয়্যারে মাত্র ৫-৬শ’ টাকা ব্যয়ে যে কোন ল্যাপটপ/কম্পিউটারকে টাচে পরিণত করা সম্ভব। তার উদ্ভাবিত ‘ল্যাপটাচ’ নামের একটি সফটওয়্যার দ্বারা ল্যাপটপ/কম্পিউটারকে টাচে পরিণত করা যাবে। টাচের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ওয়েবক্যামের ব্যাটারিচালিত লাইট। কম্পিউটার/ল্যাপটপের ডেস্কটপের স্ক্রিনের মাপ পর্যবেক্ষণের জন্য মাউসের সাহায্যে চারটি পয়েন্ট সিলেক্ট করার পর সফটওয়্যার কাজ করবে। আঙ্গুলের মাথায় সেট করা একটি ছোট সাধারণ লাইট ও ওয়েবক্যামের মাধ্যমে কম্পিউটার/ল্যাপটপ পরিচালনা করা যাবে। এই লাইটের দ্বারা কম্পিউটার স্ক্রিনে সরাসরি ছবি আঁকা বা লেখা যাবে। লাইটের টাচে মাউসের মতোই সহজেই সবকিছু ক্লিক করা যাবে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে মাউস ছাড়াই লাইটের মাধ্যমেই কম্পিউটারের সব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দিনাজপুর শহরের কালীতলার সলিমুল্লাহর পুত্র মেধাবী ছাত্র হানিফ আলী এর আগে ইন্টারনেটের সাহায্যে মোবাইলের মাধ্যমে দূর থেকে বাড়ি/প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণযন্ত্র এবং লেজারবিহীন মাউস উদ্ভাবন করেন। হানিফের পিতা এ্যাডভোকেট সলিমুল্লাহ জানান, ছোট থেকেই হানিফ লেখাপড়ার পাশাপাশি সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করত। বাড়ির ইলেকট্রনিক্সসামগ্রী খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। হানিফ বর্তমানে কুয়েটে ইলেকট্রিক এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে লেখাপড়া করছেন।
×