ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

দুইদিনে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে উঁচু এলাকায়

ভাঙছে পদ্মা বাড়ছে শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২৮ আগস্ট ২০১৫

ভাঙছে পদ্মা বাড়ছে শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে ভাঙন কবলিত অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন। পদ্মার এপারের (শহর অংশ) ভাঙন কম হলেও ওপারের চরখিদিরপুর বিলীন হতে চলেছে। গত দুইদিনে ঘর-বসতি হারানো শতাধিক পরিবার অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে সরকারী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এবারে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন স্থাপনাসহ ক্ষেত খামার ও বাড়িঘর হারিয়ে দুই পারের কয়েক হাজার মানুষ নিঃস্ব হওয়ার পথে রয়েছে। এরই মধ্যে পবার হরিপুর ইউনিয়নের চরখিদিরপুরের অন্তত ১০০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে চরশ্যামপুরের মধ্যচরে। চরখিদিরপুরে প্রায় দুশ’ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বসতভিটা হারানোদের সংখ্যা বাড়ছে। উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে চরখিদিরপুর আর থাকবে না। প্রতিদিনই এ চরের ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। তিনি জানান, এরই মধ্যে প্রায় দুশ’ পরিবার সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে একশ’ পরিবারকে চরশ্যামপুরের মধ্যচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ভাঙনের শিকার হয়ে মতিহার থানাধীন শ্যামপুর চরে আশ্রয় নেয়া পরিবারের মধ্যে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে। পবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলাম জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বানভাসিদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অপরদিকে নওগাঁর আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত জেলার বাগমারা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকশ’ পরিবার এখনও পনিবন্দী হয়ে পড়েছে। তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শাহবাজপুর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে আজ বেইলি সেতু স্থাপন ১৮ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ সরাইল উপজেলায় শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর শাহবাজপুর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বেইলি সেতু স্থাপনের জন্য শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে সরাইল বিশ্বরোড সড়কের মধ্যবর্তী স্থানের এই সেতুতে ১৮ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ জন্য সকাল ছয়টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওই সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সওজ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের (ঢাকার কাঁচপুর-ভৈরব-জগদীশপুর-শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট-তামাবিল-জাফলং) ৯৩ কিলোমিটার সড়কের তিতাস নদীর ওপর অবস্থিত শাহবাজপুর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বেইলি সেতু স্থাপন করা হবে।
×