ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২২ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

কৃষিপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখুন বাংলাদেশ সবুজ-শ্যামল ছায়ায় ঘেরা একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দুঃখের বিষয়, কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য অধিক হওয়ার ফলে সঠিক পরিমাণে এসব পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না। বর্তমান সরকার কর্তৃক কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হলেও কৃষকরা ডিজেল প্রতি লিটার ৭০-৭৫ টাকা, ইউরিয়া বস্তা প্রতি ৮০০-৮৩০ টাকা, টিএসপি ১২০০-১২৫০ টাকা, এমওপি ৮৫০-৯০০ টাকা এবং ডিআইপি সার ১৩৮০-১৫০০ টাকায় কিনছেন। কৃষিপণ্যের মূল্য যাতে স্বাভাবিক থাকে এবং বিশ্ববাজারের চেয়ে কৃষিপণ্য কম মূল্যে কৃষকরা কিনতে পারেন এজন্য সরকার কৃষি ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষকদের ভর্তুকি কার্ডের তালিকা করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে কৃষকদের জন্য ভর্তুকি কার্ডের কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে কৃষিপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ করছি। দিলরুবা রিজওয়ানা দিনা সিংড়া, নাটোর সামাজিক প্রতিরোধ দেশে আশঙ্কাজনক হারে অপরাধ কর্মকা- বেড়ে চলেছে। ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, হত্যা, গুম, দুর্বৃত্তায়ন, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, পারিবারিক হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদির অহরহ ঘটে চলেছে। পত্র-পত্রিকায় এ ধরনের অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাক্সিক্ষত সংবাদ প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তৎপরতা এবং সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে অপরাধসমূহের প্রতিরোধ এবং প্রতিকার হচ্ছে না। অনেক সময় দেখা গেছে পুলিশের চোখের সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার থাকে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য অপরাধ যথাযথভাবে দমন হচ্ছে না। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় যে, পুলিশের কিছু অসৎ সদস্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে। বলা হয়ে থাকে, উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা কম। জনসাধারণকে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। দৈনন্দিন চলাফেরা এবং কাজকর্মে সামাজিক অপরাধ কর্মকা- থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কথায় আছে নাÑ সাবধানের মার নেই। দেখা গেছে, অনেক অঘটন ঘটে থাকে সচেতন এবং সাবধান না থাকার জন্য। জনগণ সচেতন হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে সমাজে অপরাধ সম্পূর্ণ নির্মূল না হলেও অনেকাংশে কমে যাবে। মাহতাব আলী মিরপুর, ঢাকা আমাদের কি শীত-গ্রীষ্ম অনুভূতি নেই? টেলিভিশনে সংবাদ শুনলাম ভারতে গ্রীষ্মের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সব দেশেই গ্রীষ্ম কিংবা শীতে স্কুল-কলেজে ছুটি থাকে। আমাদের দেশেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি পেল অথচ শিক্ষার্থীদের এ বছর, এমনকি প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পরও একদিন ছুটি পেলাম না। একটানা বিদ্যালয়ে ক্লাস চলেছে। আমরা ছোট বলে আমাদের প্রতি এরকম বিমাতাসূলভ আচরণ কেন? সহচরী রায় মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর
×