ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৭ মে ২০১৫

যশোরে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নে যশোরের মণিরামপুরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং কাজের তদারককারী (ট্যাগ অফিসার) এ অনিয়ম ও দুর্নীতির করে চলেছেন বাধাহীনভাবে। জানা গেছে, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে কর্মসৃজনের ২ কোটি ৮২ লাখ ২৪ হাজার টাকার কাজ চলমান রয়েছে। কাগজে-কলমে ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে অধিকাংশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজোগে এ অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। কর্মসংস্থান কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করতে মণিরামপুরের ১৭টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ৫২৮ জন নারী-পুরুষের তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। কাজের তালিকাভুক্ত ৩ হাজার ৫২৮ জনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব নেই। তারা কেউ কখনও মাঠে কাজ করে না। চেয়ারম্যান-মেম্বরগণ পরিষদের কতিপয় দলীয় সদস্য নিয়ে অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করে সরকারী টাকা উত্তোলন করে নিজেরাই পকেটস্থ করছেন। এছাড়া তালিকায় অন্য যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশ ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিদের বিবেচনায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা কখনও কর্মসৃজন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে না। শুধু টাকা উত্তোলনের সময়ে চেক বইতে তাদের স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করে চেয়ারম্যান, মেম্বর ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। বিনিময়ে তাদের যত-সামান্য কিছু টাকা দেয়া হয়। অথচ এ ধরনের ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করে সরকারী টাকা লোপাট হতে চলেছে। অধিকাংশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের যোগসাজোগে এ অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, শুনেছি কিছু এলাকায় অনিয়ম হয়েছে। তবে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি আমার জানার বাইরে। বার কাউন্সিলের গত ৫ বছরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা উচিত ॥ ব্যারিস্টার আমীর স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম বলেছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার অনুমতি নিয়ে নানারকম গড়িমসি করে অর্থ আদায়, যথাসময়ে নতুন আইনজীবীদের শপথ গ্রহণ এবং সদনপত্র বিতরণ না করা, ট্রেনিং কার্যক্রম বন্ধসহ বার কাউন্সিলের বিগত পাঁচ বছরের কার্যক্রমের নিরপেক্ষ অডিট করা প্রয়োজন। তিনি বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলোচনাকালে এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার রোকনুজ্জামান বলেন, বার কাউন্সিল নির্বাচনে সাদা প্যানেল বিজয়ী হলে আইনজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সব কিছু করা হবে। সরকারের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা ফান্ড এনে আইনজীবীদের কল্যাণে লাগানো হবে। যাতে অসহায় আইনজীবীদের বিপদের সময় সনদ সারেন্ডার করে ফান্ডের টাকা গ্রহণ করতে না হয়। আবুল বাসেদ মজুমদার বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জের আইনজীবীদের সম্মান বিশ্বজোড়া। এখানকার আইনজীবীরা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব সময়ই এগিয়ে থাকেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন এমপি বলেন, আইনজীবীদের স্বার্থে, তাদের পেশাগত সম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসেছে। নেতা নির্বাচনে ভুল করা যাবে না।
×