ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে

প্রায়শই আমাকে অনেকটা তিরস্কারের সুরে শুনতে হয় : “আওয়ামী লীগের লোক, তুমি তো শেখ হাসিনার পক্ষে লিখবেই।” কখনও কখনও আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতাও একই অভিযোগ উত্থাপন করেন। আমি রাগ করি না, বরং ভদ্রভাবে বুঝিয়ে দেই, আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল কি আছে যার লোক হওয়া যায়? শেখ হাসিনা ছাড়া আর কি কোন রাষ্ট্রনেতা আছে যাকে সমর্থন করা যায়? আমার বিচার-বুদ্ধি এত কম নয় যে, সঠিক পথ আর ভুল পথ চিনব না? বরং বলব আমি বুঝে-সুজেই আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখি। সে আমার নিজের জন্য, আমার চেতনার স্ফুরণের জন্য। আমি শেখ হাসিনাকে তাঁর যোগ্য মর্যাদা দিয়ে নিজেদের সম্মানিত করতে চাই। কারণ আমি দেশপ্রেমিক, দেশকে ভালবাসি, দেশের মানুষকে ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি কতগুলো মৌলিক প্রশ্নে পক্ষ আছে, বিপক্ষ নেই। যেমন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে পক্ষ আছে, বিপক্ষ নেই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের পক্ষ আছে, বিপক্ষ নেই; বাঙালীর জাতি-রাষ্ট্র-পিতার পক্ষ আছে, বিপক্ষ নেই, জয় বাংলার পক্ষ আছে, বিপক্ষ নেই, ঠিক তেমনিভাবে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতের পক্ষ আছে, বিপক্ষ নেই। এসবের বিপক্ষ রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলেই আমি মনে করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশ্নে, আমার অভিমতÑ শেখ হাসিনার বিকল্প কি বর্তমান বাংলাদেশে কাউকে ভাবা যায়? বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠানে ইতিহাস সৃষ্টি করে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিকে পাপমুক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে অভূতপূর্ব সাফল্যের দ্বারে পৌঁছে দিয়ে প্রমাণ করেছেন বর্তমান বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা। তার বিকল্প তিনি নিজেই, আর কেউ নয়। এটা আমার কথা নয়। গত এক দশক ধরে সবচেয়ে সাহসী দু’জন কলমযোদ্ধা প্রফেসর মুনতাসীর মামুন ও স্বদেশ রায়কেও আমার মতোই তিরস্কৃত হতে হয়। প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে-আবডালে হতে হয়। কিন্তু তারা সত্য বলা থেকে এতটুকু কম্প্রোমাইজ করেননি, করছেন না। যেমন : সোমবার ১৩ এপ্রিল ২০১৫ জনকণ্ঠে প্রফেসর মামুনের কলামের শিরোনাম ছিল “শেখ হাসিনাকে কেন আমরা স্মরণ রাখব?” এতে তিনি লিখেছেন- “শেখ হাসিনা না থাকলে কি বিচার হতো? হতো না। শেখ হাসিনা অটল না থাকলে কি দণ্ড কার্যকর হতো? হতো না।” .... “শেখ হাসিনা যে দায়বদ্ধতার সমাজ ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন সে জন্যই তিনি স্মরিত হবেন। দক্ষিণ এশিয়ায় তার সাহসী ভূমিকা সব সময় প্রশংসিত হবে।” ১৬ এপ্রিল ২০১৫ একই পত্রিকায় স্বদেশ রায় “যে ফাঁসির ভেতর দিয়ে হারানো বাংলা ফিরে আসবে” শীর্ষক তাঁর নিয়মিত উপ-সম্পাদকীয় শুরু করেছেন এভাবে, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে শেষ হবে এ নিয়ে মনে হয় বোকা, বুদ্ধিমান, অতিবুদ্ধিমান কার কোন সংশয় নেই। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর হলে বাংলাদেশে যে কেবল আনন্দ মিছিল ছাড়া আর কিছু হবে না তাও স্পষ্ট। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সারাক্ষণ ব্যঙ্গ করত যে সাকা চৌধুরী তার ফাঁসির দিনেও বাংলাদেশে কারও কোন দৈনিক কাজে ব্যাঘাত হবে না। বাংলাদেশকে এ বাস্তবতায় নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা।” যে সব সাংবাদিক ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ‘দুই নেত্রী’ ‘দুই নেত্রী’ বলে গলা ফাটিয়েছেন তাঁরাও সাইড লাইনে পড়ে গেছেন। যেদিন থেকে খালেদা জিয়া ব্যর্থতার জ্বালা বুকে নিয়ে ঘরে ফিরেছেন সেদিন থেকে বরং খালেদা নিজে বেঁচে গেছেন। অবরোধ-হরতালের নামে গুলশান কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসন রচনা করে জঙ্গীপনা অব্যাহত রাখলে ক্ষুব্ধ জনতাই খালেদার কার্যালয় আক্রমণ করত এবং পেট্রোলবোমা মেরে, আগুনে পুড়িয়ে দেড় শ’ সাধারণ জীবন কেড়ে নেয়া, সহস্র মানুষকে পঙ্গু করা এবং হাজার হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী সম্পদ ধ্বংস করার দায়ে তাঁকে জনতার আদালতে দাঁড় করাত। বিচার করে উপযুক্ত শাস্তি দিত। এখন সে দায় পড়েছে সরকারের ওপর। সরকারকেই এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মতো জঙ্গী ম্যাডাম খালেদাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। কি ভয়ঙ্কর ছিল সেই সময়টি। খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে আস্তানা গেড়েছেন এবং সেখানে বসে বসে নিজের বখে যাওয়া ছেলে তারেকের সঙ্গে পরামর্শ করে, জঙ্গী ম্যাডাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। গত ৫ জানুয়ারি ২০১৫-এর দুইদিন আগেই গুলশান কার্যালয়ে ওঠেন। লক্ষ্য ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ঘোষণা করে নাশকতা শুরু করবেন। করলেনও তাই, তাঁর তো অর্থ ও সন্ত্রাসীর সাপ্লায়ার জামায়াত-শিবির রয়েছেই। তিনি হুকুম দিচ্ছেন আর শিবির জঙ্গীরা প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী চলন্ত বাস-ট্রাক-ট্রেন-টেম্পোতে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। বিএনপি সিনিয়র নেতারা তাঁকে সমর্থন না দিয়ে দৃষ্টির আড়ালে গা ঢাকা দিলেও সন্ত্রাসী বোমাবাজ ছাত্রদল, যুবদলও জঙ্গী শিবিরের সঙ্গে যোগ দেয়। মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশে দেশে মুসলিম ব্রাদারহুড, বোকো হারাম, আইএস, তালেবান, আল কায়েদার মতো মানুষ মারতে থাকে। যারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে বা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তাদের মধ্যে যেমন শিশু রয়েছে তেমনি রয়েছে নারী, রয়েছে সাধারণ শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ। এরা নেহাতই সাধারণ মানুষ। একদিন গাড়ি না চালালে যাঁদের পরিবার-পরিজন নিয়ে উপোস করতে হয়, সন্তানের মুখে ভাত তুলে দিতে পারেন না। কিংবা একদিন অফিস কামাই দিলে বেতন কাটা যাবে এবং এসিআর-এ দাগ পড়বে, এই ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাসে ট্রেনে ওঠে তাদেরই জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু খালেদা নির্বিকার। কোন অপরাধবোধ তাঁর নেই। ৯২ দিন এমনি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন তিনি। তারপর বলা যায় নাকে খত দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাঁরা অল্পতেই অধৈর্য হয়ে পড়েন। এদের সঙ্গে দেখা হলে একটাই প্রশ্ন, কি হবে ভাই? তাদের অভয় দিয়েছি একটু অপেক্ষা করুন। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন, তিনি সব ঠিক করে দেবেন। আসলে এ ধরনের মানুষের যেমন অভাব নেই, তেমনি অভাব নেই ছিদ্রান্বেষী এক শ্রেণীর। তারা কখনও সুশীল সমাজের নামে, কখনও বুদ্ধিজীবীর নামে সমাজের ছিদ্র খুঁজে বেড়ায়, বিভ্রান্ত করে। এই মানুষগুলো এখন ছিদ্র খুঁজছেন সরকারের সঙ্গে খালেদার কি সমঝোতা (?) হয়েছে যে তিনি হঠাৎ ঘরে ফিরলেন। নিশ্চয়ই পর্দার অন্তরালে কিছু একটা হয়েছে? এদের কি বলা যাবে? যে পরাজয়ের জ্বালা নিয়ে ঘরে ফিরল, তার সঙ্গে বিজয়ীরা সমঝোতা করতে যাবে কেন? তবে হ্যাঁ, শেখ হাসিনা পিতার মতোই উদার মনের অধিকারী। তাই এবারের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়াকে। তিনি এর কতটুকু সম্মান দেবেন তা এখনই বলা যাবে না। কারণ ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি নির্বাচনে জনগণ বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়ে দেবে, সেই মোহে আছেন তিনি। যখন দেখবেন জনগণ বিশাল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের সাঈদ খোকনকে ঢাকা দক্ষিণ, আনিসুল হককে ঢাকা উত্তরে এবং আ জ ম নাছিরকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচিত করেছে, তখন খালেদার সর্বশেষ আশার গুড়েও বালি পড়বে। জনগণ বোমাবাজদের কেন ভোট দেবে? আমি তো মনে করি জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও সুদৃঢ় আস্থা নেবে। ২ বৈশাখ বুধবার গণভবনে সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, টিভি টকার ও শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শেখ হাসিনাকে অনেক বেশি আত্মপ্রত্যয়ী মনে হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা যেমন খালেদার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে, তেমনি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পর ড. এমাজউদ্দিন গং গা ঢাকা দেবে। তবে হ্যাঁ জঙ্গীদের বিচার করা ছাড়া বিজয় নিরঙ্কুশ ও স্থায়ী করা যাবে না। এবং সে বিচার শেখ হাসিনাকেই করতে হবে। নইলে মানুষ ভুল বুঝতে পারে? একজন সাধারণ বোমাবাজ আর জঙ্গী ম্যাডাম খালেদার পেট্রোলবোমাবাজির অপরাধ একই। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম তারতম্য মানুষ সহজভাবে নেবে না। খালেদা নেত্রী বলে তাঁর বিচার হবে না, শিবির দলীয় বোমাবাজ বলে তার বিচার করা যাবে না, সাধারণ ভাড়াটে বোমাবাজদের বিচার হবে, এটাও জনগণ সহজভাবে নেবে না। বিগত ৯২ দিন জনগণ খালেদার ডাকে রাজপথে নামেনি, কিন্তু খালেদা ও তাঁর নির্ভরতার স্থল জামায়াত-শিবিরের আদর্শ বিরোধী অসাম্প্রদায়িক বাঙালীর সার্বজনীন পয়লা বৈশাখের নববর্ষ বরণ উৎসবে রাজপথে নেমেছে লাখ লাখ মানুষ। রাজধানী ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। এই জনগণ খালেদার সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি চরম অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য ছিল এবারের পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালায়। জঙ্গীদের বিচারের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত-শিবিরকেও নিষিদ্ধ করা দরকার। নইলে এ দেশের এক শ্রেণীর তরুণ, বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের মনোজগত থেকে জঙ্গী ধারণা দূর করা অসম্ভব হবে। জামায়াত-শিবিরের কাছে মৌলবাদী অর্থনীতির অর্জন বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ টাকার একটি বিশাল অংশ তারা জঙ্গীপনায় ব্যয় করছে। সেইসঙ্গে গরিব সাধারণ শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যতের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখাতে পারছে, এভাবে একেকটি শিশু-কিশোর একেকটি হিউম্যান বোমা হয়ে বড় হচ্ছে। একটা পর্যায়ে তাদের আর ফেরানো যাচ্ছে না, ফেরানো যাবেও না। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তাদের যেমন কতগুলো সাংবিধানিক অধিকার থাকবে না, তেমনি এভাবে কচি কোমল শিশু-কিশোরদের মনে জঙ্গী ধারণা দেয়ার সুযোগও চলে যাবে, যা খুবই জরুরী। গত ২ বৈশাখের গণভবনের মতবিনিময় সভায় শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা, ডা. নুজহাত চৌধুরী ও শহীদ সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের কন্যা শমী কায়সার এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ধৈর্য ধরতে বলেন। আমরা মনে করি শেখ হাসিনার ধৈর্য ধারণের পরামর্শ নেহাত বাত-কি-বাত নয়। অতীতেও দেখেছি তিনি যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই নাক সিটকেছেন। কেউ এমনও বলেছেন, রাজনৈতিক নেতারা এমনই বলে থাকেন? আসলে আমাদের পলিটিশিয়ান বা পলিটিক্যাল বুদ্ধিজীবীরা যখন দশ মিটার সামনে দেখেন তখন শেখ হাসিনা দেখেন দশ হাজার মিটার সামনে। অদূর বা দূর ভবিষ্যতে কি হচ্ছে বা হতে পারে যে নেতা তা নির্ণয় করতে পারেন না বা দূরদৃষ্টি যার থাকে না তিনি রাষ্ট্রনেতা হতে পারেন না, তিনিই জঙ্গী পথ ধরেন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। তবে হ্যাঁ, খালেদা আবার মাঠে নেমেছেন। সতর্ক থাকতে হবে। খালেদার বাসায় কোন কোন কূটনীতিকের আনাগোনা শুরু হয়েছে, যারা যুদ্ধাপরাধী আলবদরদের ফাঁসি হলে মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে, অথচ পেট্রোলবোমায় যে শিশুটি দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করল, যে সাধারণ মানুষটি জীবিকার অন্বেষণে রাস্তায় নেমে ওদের বোমায় দগ্ধ হয়ে জীবন দিল, যে মা অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তাদের কি মানবাধিকার নেই? এ প্রশ্ন তাদের করা উচিত কিংবা যখন ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি, ক্লাস করতে পারেনি, তাদের মানবাধিকারের ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক মোড়লরা নীরব কেন? যারা ঈদের দিন সাদ্দামকে ফাঁসি দেয়, তারাই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দণ্ড থেকে বাঁচাতে আসে। এই সব প্রেক্ষাপট মনে রেখেই আমাদের পথ চলতে হবে। শেখ হাসিনার সমর্থনে দৃঢ় থাকতে হবে। শেখ হাসিনার ওপর জাতির আস্থা আছে তিনি যা বলেন তা বাস্তবায়ন করেন। এরই মধ্যে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ঢাকা ॥ ১৭ এপ্রিল ২০১৫
×