স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ট্র্যাজেডিই বলতে হবে! এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটবলে শুক্রবারের দুটি কোয়ার্টার ফাইনালই নিষ্পত্তি হয়েছে ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে। অস্ট্রেলিয়ায় চলমান আসরের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ইরাক পেনাল্টি শূটআউটে ৭-৬ গোলে পরাজিত করে ইরানকে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত ছিল।
এরপর চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালও গড়ায় টাইব্রেকারে। এই ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাপানকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত মিলিয়ে ১২০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। এর ফলে আসরের সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরাক। ২৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় সেমিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই সেমিফাইনালের বিজয়ী দল ৩১ জানুয়ারি শিরোপানির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে। আর পরাজিত দল দুটি তৃতীয় স্থানের জন্য লড়বে ৩০ জানুয়ারি। ইরান ও ইরাকের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই ৩০ মিনিটে দুই দলই আরও দুটি করে গোল করলে খেলা ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত থাকে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ইরানকে এগিয়ে নেন সর্দার আজমুন। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে ইরাককে সমতায় ফেরান আহমেদ ইয়াসিন। এরপর নির্ধারতি সময়ে আর কোন গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। এ সময় ম্যাচ আরও জমে উঠে। ৯৩ মিনিটে গোল করে ইরাককে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন ইউনুস মাহমুদ। ১০৩ মিনিটে মোরটেজা পুরালিগানজির গোলে ইরান স্কোরলাইন করে ২-২। তিন মিনিট পর ইসমাইলের পেনাল্টি গোলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইরাক। ম্যাচ শেষের এক মিনিট আগে রেজার গোলে ইরান ফের ৩-৩ গোলে সমতা ফেরায়।
এরপর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। এখানে প্রথম কিক থেকে কোন দলই গোল করতে পারেনি। পরের ৬টি শট থেকে দুই দলই গোল পায়। কিন্তু অষ্টম শটটি থেকে গোল করতে পারেনি ইরান। আমিরির শট প্রতিহত হয়। কিন্তু শাকের গোল করে অসাধারণ জয় পাইয়ে দেন ইরাককে। শেষ চার নিশ্চিত করার পর ইরাকের লক্ষ্য শিরোপা পুনরুদ্ধার। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে থেকেও ২০০৭ সালে শিরোপা জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিল ইরাক। জাপানের বিরুদ্ধে ভাল খেলেই জয় পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে মাবখুউটের গোলে এগিয়ে যায় আরব আমিরাত। ৮১ মিনিটে সিবাশাকির গোলে সমতা ফেরায় জাপান। এরপর ৯০ মিনিটে অমীমাংসিত থাকলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময়ে গোল পায়নি কোন দলই। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে প্রথম পাঁচটি শট থেকে চারটি করে গোল পায় দু’দলই। এরপর ষষ্ঠ শটে জাপানের হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন তারকা ফুটবলার শিনঝি কাগাওয়া। কিন্তু আরব আমিরাতে হয়ে ইসমাইল আহমেদ গোল করে দলকে সেমিফাইনালে উন্নীত করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: