ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালীতে নিলাম ছাড়াই গাছ বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৭ নভেম্বর ২০১৪

পটুয়াখালীতে নিলাম ছাড়াই গাছ বিক্রির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় নিলাম ছাড়াই প্রকাশ্যে বিভিন্ন বনাঞ্চলের শত শত গাছ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা এ অপকর্মের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাঙ্গাবালী বন বিভাগের সদর বিট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে কয়েক দুর্বৃত্ত সম্প্রতি উপজেলার মৌডুবি, বাহেরচর ও চরআগস্তি বনাঞ্চল থেকে আকাশমণি, শিশু, বাবলা, রেইনট্রি ও অর্জুনসহ কয়েক প্রজাতির প্রায় পাঁচ শ’ গাছ দিনে দুপুরে কেটে ফেলেছে। অন্তত ১০ লাখ টাকার মূল্যের এ সমস্ত গাছ প্রথমে কয়েকটি করাতকলে স্তূপ করে রাখা হয়। পরে ট্রলার ভর্তি করে অন্যত্র পাচার করা হয়। গাছগুলো গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গাছগুলো কাটার পর কোন ধরনের সিজারলিস্ট বা তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ নিলামে তোলার আগে লাল রঙ দিয়ে মার্কিং বা নম্বর দেয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি। পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলারের মালিক ফরিদ বয়াতী জানান, বিট অফিসার আলমগীর হোসেন তাঁর ট্রলার ভাড়া করে প্রায় পাঁচ শ’ গাছ বরিশাল নিয়ে গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বিট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের মতো বন বিভাগের আরও কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী বনাঞ্চলের গাছ কাটা ও পাচারের সাথে সরাসরি জড়িত। তারা দাঁড়িয়ে থেকে বনদস্যুদের কাছে বনাঞ্চলের গাছ তুলে দেয়। এ বিষয়ে বন বিভাগের সদর বিট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। বরিশালের জিএম আক্তার হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিরোজা এন্টারপ্রাইজ নিলামে তা কিনে নিয়েছে। তারাই গাছগুলো কেটে নিয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।
×