
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বাবুল প্রত্যয়নপত্রে এক ধর্ষককে ‘ধর্ষক’ লিখে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। চিরাচরিত প্রথা বদলে দেয়া এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য মানুষ তার প্রশংসা করছেন এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
ঘটনার সূত্রপাত তারাটি গ্রামের মোহাম্মদ শরীফ মিয়াকে ঘিরে। ২০২৩ সালে পাশের বাড়ির এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তিনি তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৩ জুন একই গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শরীফ। এ ঘটনায় ১৫ জুন ভুক্তভোগীর বাবা ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
পরে ১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে র্যাব-১ শরীফকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। আদালত তার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র চাইলে সাইদুল ইসলাম বাবুল সেই পত্রে লিখেন, ‘শরীফ একজন ধর্ষক। সে একাধিক মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তার চরিত্র ভালো নয়।’
প্রত্যয়নপত্রটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানায়।
চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমি যাচাই-বাছাই করে প্রত্যয়ন পত্র দেই। এই ব্যক্তি পূর্বে ধর্ষণ চেষ্টার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে আবার ধর্ষণ করেছে। যাতে সে যথাযথ বিচার পায়, সেই উদ্দেশ্যে আমি স্পষ্টভাবে তার অপরাধ উল্লেখ করেছি। আমার দাবি—বাংলাদেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানরা যেন এভাবে অপরাধীদের চিহ্নিত করে প্রত্যয়নপত্র দেন।’
তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশে প্রথম উদ্যোগ হতে পারে এবং এর ফলে ধর্ষণের প্রবণতা কমবে। অপরাধীরা ভয়ে এমন জঘন্য অপরাধে জড়াতে সাহস পাবে না।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=zPXIgcpJOb8
রাকিব