ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ইতিহাসের হাজার বছরের সাক্ষী শাহ্ আলী মাজার শরীফ

রাজু আহমেদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঢাকা

প্রকাশিত: ০১:১৯, ১ আগস্ট ২০২৫

ইতিহাসের হাজার বছরের সাক্ষী শাহ্ আলী মাজার শরীফ

মানব কল্যাণে যুগে যুগে কালে কালে ও সময়ে সময়ে অসংখ্য নবী-রাসূল, অলি আউলিয়াদের আগমন ঘটেছে পৃথিবীতে। যাতে স্রষ্টা ও সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। প্রাচীন যুগে এই বাংলায় বর্তমান বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের সংখ্যা, প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল বেশি। তখন পশ্চিমা বিশ্বের আরব সাম্রাজ্যের বহু সংখ্যক অলি-আউলিয়া, গাউস কুতুব, পীর-মাশায়েখ, ফকির, সুফী সাধক, দরবেশ ও ওলামায়ে কেরামগণ ইসলাম প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগমণ করেন। 
সেই সময়ের এই বাংলা ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যসমূহে সামন্ত রাজাগণের রাজত্বকালে মহান তাপস প্রবর সুলতান আউলিয়া হযরত সৈয়দ শাহ আলী বাগদাদী (রঃ) সুদূর ইরাক হতে এদেশে আসেন ইসলাম প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে। 

১৪১২ খৃষ্টাব্দে (৮৩৪ হিজরী) মাত্র বিশ বছর বয়সে বাগদাদ থেকে ১০০ জন সুফি সাধক ও দরবেশকে সঙ্গে নিয়ে  তিনি প্রথম দিল্লিতে আসেন। 
১৪৩৪ খৃষ্টাব্দে (৮৩৭ হিজরী) সেখান থেকে তিনি এদেশের বর্তমান ফরিদপুরের (তৎকালীন ফতেহবাদ) গেদ্দায় আগমণ ও অবস্থান করে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।গেদ্দায় বেশিদিন স্থির না হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে নৌকা যোগে ঢাকার মিরপুরে আগমণ করে একটি মসজিদে অবস্থান নেন। তার নামেই মিরপুর এলাকা পরিচিতি লাভ করে "শাহ বন্দর" নামে। 
মোঘল আমলের নির্মিত স্থাপত্যকলা ও নির্মাণশৈলীর অনবদ্য নিদর্শন, ঐতিহাসিক এই মসজিদটির নির্মাণ সন শিলা লিপি দেখে জানা যায়, ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে (৮৮৫ হিজরী) স্বাধীন বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইউসুফের রাজত্বকালে এই অঞ্চলের তৎকালীন গভর্ণর জহিরুদ্দিন খান কর্তৃক নির্মিত এটি । 

সমসাময়িক সেসময়ে আগে থেকেই একই অঞ্চলে অবস্থান ও বসবাসরত আরেক কামেল পীর বাহার শাহ মোহাম্মদ (রঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ ও তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে এই মসজিদেই স্থায়ীভাবে বসবাস ও ইসলাম প্রচারে মননিবেশ করেন।

প্রচলিত রয়েছে, ১৫৭৭ খৃষ্টাব্দের শেষ দিকে তাকে কোনো রকম ডাকাডাকি কিংবা বিরক্ত না করতে সঙ্গীদেরকে নির্দেশ দিয়ে মসজিদের অভ্যন্তরে ৪০ দিনের চিল্লায় অবস্থান করেন তিনি। কিন্ত ৩৯ দিনের মাথায় মসজিদের ভেতরে ফুটন্ত পানি সদৃশ এক অদ্ভুত, রহস্যজনক ও ভয়ঙ্কর উচ্চশব্দে তিনি ভেতরে কোনো বিপদে পড়েছেন ভেবে সহ্য না করতে পেরে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন মসজিদের ভেতরে। মূহুর্তেই থেমে যায় সেই শব্দ। এসময় মসজিদের মেঝেতে চাকা চাকা ফুটন্ত রক্তের দলা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন তারা। 

আতঙ্কে কিংকর্তব্যবিমূঢ় সঙ্গী সাথীগণ দিশেহারা দিক্বিদিক- উপর থেকে গায়েবী এক শব্দ শুনতে পান। তারা বুঝতে পারেন এটি সুফী শাহ্ আলী (রঃ) এর কণ্ঠস্বর'। তাদের হুকুম করলেন, রক্তের দলাগুলো যেখানে পড়ে আছে সেখানেই সমাধিস্থ করো।
এরপর মসজিদটিকে মাজার শরীফে রূপান্তরিত করণে এবং তার ওফাতের অদ্ভুদ রহস্যের নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও দেখা যায়নি।

ধীরে ধীরে আপন ইতিহাস ঐতিহ্য মেলে ধরে বিশ্বব্যাপী ইসলামের আলো ছড়িয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিক গুরুত্ববহ সেই মসজিদটিই আজকের এই বিশালাকার মাজার শরীফ কমপ্লেক্সে রূপলাভ করেছে।

দেশ-বিদেশের লাখো ভক্ত -আশেকান, শিষ্য সামন্ত, অনুসারী, জিয়ারতী, দর্শনার্থীদের দানকৃত অর্থে ওয়াকফ্ প্রশাসন শাসিত প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন প্রায় ২৭ একর জমির একাংশজুড়ে স্থাপিত হয় মাজার শরীফ কমপ্লেক্সের মূল প্রাঙ্গণ। পরবর্তীতে এ প্রাঙ্গনেই নির্মিত হয় একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি বিশালাকার আধুনিক মসজিদ, নারী-পুরুষদের জন্যে আলাদা আলাদা দুটি জিয়ারতী শেড এবং রান্না বান্নার জন্যে নির্মাণ করা হয় একটি লোঙ্গরখানা। মাজার শরীফ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বর্ধন, আগতদের সুবিধার্থে খনন করা হয় দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক গুরুত্ববহ বিশালাকার দুটি পুকুর। 

এছাড়া একটি কামিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা, দাতব্য হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ও স্টাফ কোয়ার্টার, রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারী কাঁচাবাজার আড়ৎ, বিপনী বিতাণসহ প্রতিষ্ঠালাভ করে বিবিধ বাণীজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমুহ। বর্তমানে মাজার শরীফ কমপ্লেক্স পরিচালনায় নারী-পুরুষসহ মোট ১৩৮ জন স্টাফ কর্মরত রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বৃটিশ শাসনামলে জনৈক বখতিয়ার খান সর্বপ্রথম মাজার শরীফের নামে জমি ওয়াকফ্ করেন। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এর বিরোধিতা করে ১৯২৭ সালে ঢাকা সহকারী জজ আদালতে প্রথম মামলা দায়ের করেন। এরপর একে একে দায়েরকৃত বেশ কয়টি মামলা কয়েক বছর চলমান থাকে। 

আদালতের রায়ে মামলায় জয়লাভের পর ঢাকার তৎকালীন এসডিও তাইজুদ্দিন খান পুনরায় ওয়াকফ্ নথিভি্ুক্ত করেন এবং এই স্টেটের প্রথম মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। যার ইসি নম্বর-১২৭৯। 

এরপর ১৯৪০ সালের ২৬ আগষ্ট মাজার শরীফ কমপ্লেক্স পরিচালনায় ঢাকার এসডিওকে সভাপতি, তাইজুদ্দিন খানকে মুতাওয়াল্লী এবং তার ভাই ডাঃ মইজুদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম কমিটি। 
এরপর, ১৯৫২ সালে স্টেটের সেক্রেটারী নিযুক্ত হন তৎকালীন পূর্ত, পানি ও বিজলী প্রধান প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ। 

আরো জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তীতে ঢাকার তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ নিজামুদ্দিন পদাধিকার বলে মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যপক উন্নয়ন, সৌন্দর্য্য ও আয় বৃদ্ধি পায়। 

স্থানীয়রা জানান, হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রঃ) এর লাখো ভক্ত-অনুসারী, দেশ-বিদেশের উচ্চ পর্যায়ের পীর মাশায়েখ, জ্ঞানচর্চায় ইসলামিক, আধ্যাতিক জ্ঞান-শিক্ষক- শিক্ষার্থী, আউল-বাউল, কাউয়াল, সাধারণ জিয়ারতী-দর্শনার্থীদের অবস্থান, ঐচ্ছিক রাত্রী যাপণকালীন পূর্ণ স্বাধীন পদচারণায় মুখরিত এক আদর্শ-তীর্থস্থলে রূপলাভ মাজার শরীফ কমপ্লেক্সের ভাবগাম্ভীর্য ও গুরুত্বকে শতগুণ বাড়িয়ে তোলে। 

গান / সংগীত আধ্যাতিকতা ও তরিকত পন্থীদের আত্মার খোড়াক দাবি করে অনেকেই বলেন, বিভিন্ন ভাষাভাষী দেশসমুহের সংগীত ও সংগীতশিল্প সে দেশীয় নিজস্ব সংস্কৃতির বিরাট এক অবিচ্ছেদ্য অংশবিশেষ।  স্রষ্টার নিগুঢ় রহস্য, দেহতত্ব ও আধ্যাতিক জ্ঞানসমৃদ্ধ সংগীত শিল্পে ধাচ-বিবিধ গীতসমুহ প্রচলিত অঞ্চল ভেদে মুর্শিদি, বৈঠকী, দরবারী, জারী-সারি, পল্লী, ভাটিয়ালী, বাউল গান হিসেবে স্বীকৃত। যা স্রষ্টা, সৃষ্টি, প্রকৃতি, জানা-অজানা জ্ঞানভাণ্ডার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে মানুষকে উচ্চমানের ভাবনার জগতে নিয়ে যায়।

নিয়মিত বাউল গান চর্চার আদর্শ স্থল, বিশেষ করে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার রাতব্যাপী মাজার শরীফ কমপ্লেক্সের মূল প্রাঙ্গণ জুড়ে  পাগল, মাস্তান, পীর মাশায়েখ, সুফী সাধক, দর্শনার্থী-মুখরিত বিশাল মিলনমেলা মাজার প্রাঙ্গণকে কানায় কানায় ভরিয়ে তুলতো। আধ্যাত্বিক জ্ঞানচর্চা ও চিত্ব বিনোদনের গুরু ভাবগাম্ভীর্যে পুরো মাজার প্রাঙ্গণ জ্বলজ্বল করতো এক পূর্ণাঙ্গ-পরিপূর্ণতায়।

অসংখ্য রং বেরঙ্গের চোখ ধাধানো আলো ঝলমলে প্যাণ্ডেল, প্রজ্বলিত বাহারী মোমবাতি, আগরের সুগন্ধময় আসরে শিল্পীদের সংগীত পরিবেশন, দেশীয় বাদযন্ত্রের সংমিশ্রণ সুরের মূর্ছনায় সৃষ্ট প্রাণচাঞ্চল্য ও মুগ্ধ হয়ে শিল্পীদেরকে বকশিস দিয়ে অনেকে আত্মতৃপ্ত হতেন।
মাজার শরীফ কেন্দ্রীক শিল্পীদের আয়ের বিরাট এক উৎস সৃষ্টি ও সংগীত চর্চায় নির্ভরযোগ্য, ঐতিহ্যগত গুরুত্বের নিরীখে অসংখ্য বাউল সংগীত শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা, এমনকি দেশের প্রতিষ্টিত কেন্দ্রীয় জাতীয় বাউল শিল্পী সমিতির প্রধান কার্যালয়ের অবস্থান এখানেই। 

কোকিলকোন্ঠী গায়িকা খ্যাত এক সময়ের বিশ্বখ্যাত বাউল শিল্পী মমতাজ বেগম, বাউল মাতা আলেয়া বেগম, মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান, মালেক সরকার, লতিফ সরকার, রজ্জব দেওয়ান, কাজল দেওয়ানদের মত বিখ্যাত শিল্পীদের উত্থান এখান থেকেই। 
বাংলার মাটি ও মানুষের অকৃত্রিম স্বাদগন্ধযুক্ত সুর-সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয় ঐতিহ্যবাহী নিজস্ব সংস্কৃতির সুবিশাল সম্ভার-সমৃদ্ধতার আলো ছড়িয়ে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি ও সুউচ্চ অবস্থানে বাউল শিল্প ও  শিল্পীদের ভূমিকা বিশেষভাবে অনস্বীকার্য। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে আগের মতো সেই জনসমাগম, প্রাণচাঞ্চল্য, গান-বাজনা, ভাব নৃত্য, পাগল ফকিরদের আনাগোনা, জ্ঞানচর্চা কিংবা চিত্তবিনোদনে মনোমুগ্ধকর সেচিত্র এখন আর দেখা যায়না। 

সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের গুরত্বহীণতা, নজরদারি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, অবর্ণনীয় নেতিবাচক প্রভাবে ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠানটির পবিত্রতা, নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সৌন্দর্য্য বিশেষভাবে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।

মাজার শরীফ প্রাঙ্গণ এখন এক শ্রেনীর মাদক সেবী আর মাদক কারবারীদের অভয়ারণ্য হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয়দের অনেকে অভিযোগ করে আরো বলেন, নিয়মিত অনিয়ম-অব্যবস্থাপণা, বহিরাগত প্রভাবশালীদের অনধিকার প্রবেশ, নিয়ন্ত্রণে প্রভাব বিস্তার- জবরদখল, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতিসহ গুরুতর বহু অভিযোগে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটি। বেশ কিছু বছর যাবৎ মাজার শরীফের নিজস্ব মালিকানাধীন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি মাজার শরীফের নিয়ন্ত্রণহীণ; বেদখল হয়ে গেছে। নিয়মবহির্ভূত মাজার শরীফের ঐতিহাসিক দুটি বিশালাকার পুকুরের মধ্যে একটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। 

সম্প্রতি বৃহত্তর মিরপুর কাঁচাবাজার আড়তের ব্যবসায়ীগণ সুর্দিষ্ট কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা, সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের বিশেষ হস্তক্ষেপের দাবি করেন। তাদের দাবি, চিহ্নিত কিছু অপেশাদার ব্যক্তিবর্গ ব্যবসায়ী পরিচয়ে মিরপুর কাঁচাবাজার আড়তের সম্মুখের মূল সড়ক, কাঁচা পণ্যবাহী যানবাহন লোড-আনলোড ও পার্কিংয়ের জায়গায় জোরপূর্বক অস্থায়ী কাঁচাবাজার বসিয়েছে। এতে কাঁচাপণ্য পরিবহনে অব্যবস্থাপণা জণিত কারণে যানযট, হয়রাণী ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। বিরূপ প্রভাব ফেলছে নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপণায়।

ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বাজারে কাঁচা পণ্য বেচাবিক্রিতে রহস্যজনক অস্বাভাবিক লেনদেন, নানামুখী অপতৎপরতায় কৃত্রিম সংকট, মূহুর্তে মূহুর্তে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-শিথিল করণে সরকার নির্ধারিত বাজারদরের কোনো তোয়াক্কাই করছেনা তারা। ফলে প্রভাব পড়ছে রাজধানীর দৈনন্দিন বাজারদরে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তা জনিত কৃত্রিম ঝুকি ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।  
ব্যবসায়ীদের দাবির ভিত্তিতে এক চিঠির মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী কাঁচাবাজার উচ্ছেদ অভিযান কার্যকর করতে নির্দেশ প্রদান করেন ঢাকা জেলা প্রশাসন। 

স্থানীয় সাধারণ নাগরিবৃন্দের দাবি, এই ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থাপনাটির মর্যাদা ও সকল পবিত্রতা রক্ষা করা কেবল প্রশাসনেরই নয়, সমাজের সকল সচেতন নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট মহলের সদিচ্ছা, কঠোর নজরদারি, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকল নাগরিকদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ মূলক ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই পবিত্র স্থানটি আবারও তার নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস সমৃদ্ধ পুরনো রূপে ফিরে পেতে পারে।

রাজু

×