
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ছয়দিন পরে তিনজনের খোঁজ মিললেও এখনও ১২ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নম্বরবিহীন একটি ট্রলারসহ ১৫ জেলে ২৩ জুলাই সাগরে মাছ শিকারে যায়। এরা হচ্ছেন রশিদ, রাজিব, নজরুল, রাহাত, সাগর, হাসান, রফিক, সাগর-২, হারুন, ইদ্রিস, গিয়াস, হারুন-২, কালাম, হাসান ও ইব্রাহিম। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে গত ২৩ জুলাই সকালে সাগরে যায় এসব জেলে। এরপর থেকে তারা সবাই ট্রলারসহ নিখোঁজ থাকেন।
এর মধ্যে আজ সোমবার বিকেলে ভাসমান অবস্থায় গভীর সাগরবক্ষ থেকে সাগর-১, সাগর-২ ও হাসান নামের মোট তিন জেলেকে অপর ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করেন। তবে এখনও তাদের কিনারে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ ১২ জেলেদের চারজনের বাড়ি লালুয়া, দুইজনের বাড়ি মধুখালী, তিনজনের বাড়ি বালিযাতলী ও এক জনের বাড়ি ভোলায়। বাকিদের বাড়ি কোথায় জানা যায়নি। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে রাজিব ও রাহাত আপন দুই ভাই। এরা মঞ্জুপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মনসুর মাতুব্বর ও মাকসুদা দম্পতির সন্তান। তারা বিপর্স্ত্র হয়ে পড়েছেন। ওখানকার চৌকিদার রাজিব মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এসব জেলের খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারে বিরাজ করছে অজানা আশঙ্কা।
জানা গেছে, একই দিনে মোট ছয়টি ট্রলার মহিপুর থেকে ছেড়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। তার মধ্যে পাঁচটি ট্রলার ইতোমধ্যে নিরাপদে ফিরে এলেও এই ট্রলারটি এখনো ফেরেনি। নিখোঁজ ট্রলারটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৪৫ ফুট।। ট্রলারটির বডি নীল রঙের বলে জানানো হয়েছে। ট্রলারটি জেলেসহ নিখোঁজ থাকায় মালিক কিশোর হাওলাদার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাব্বির