ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা থেকেই আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করছি: শওকত আজম খাজা

নুরউদ্দীন খান সাগর, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৩, ২৫ জুলাই ২০২৫

জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা থেকেই আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করছি: শওকত আজম খাজা

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব শওকত আজম খাজা বলেছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে অতীতে আমরা সকল দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছি। কিন্তু আন্দোলনের এক বছর না যেতেই দেখা যাচ্ছে, কিছু জনভিত্তিহীন, সুবিধাবাদী ছোটখাটো সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ছড়াচ্ছে। 

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উদ্যোগে নগরীর কাজীর দেউরি চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা থেকেই আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করে যাচ্ছি। কিন্তু যেসব সুবিধাবাদী গোষ্ঠী চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দলের নাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টা চালাচ্ছে—তাদের মুখোশ শিগগিরই উন্মোচন হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে যারা রাজনীতি করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই—এই দেশের মানুষ ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ও রাজনীতির অপচেষ্টা কখনোই মেনে নেবে না।

জাতীয়তাবাদের প্রাণ, জাতীয়তাবাদের শক্তি হলো এই দেশের মাটি ও মানুষ। অতীতেও জাতীয়তাবাদী দল এই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে, ভবিষ্যতেও এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমাদের একমাত্র দাবি—একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছেও আমাদের সেই দাবি আজও অপরিবর্তিত—সংস্কারের পাশাপাশি নিরপেক্ষ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে।

কিছু জনসমর্থনহীন রাজনৈতিক দল নির্বাচন শব্দেই ভয় পায়, কারণ তারা জানে জনগণের রায় কখনোই তাদের পক্ষে যাবে না। তারা সরকারের মদদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কৃত্রিম প্রদর্শনী করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—এই দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে।

যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের আমরা এই সমাবেশ থেকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এই অপপ্রচারের পরিণাম খুবই ভয়াবহ হবে। আর সেই পরিণামের দায় আপনাদেরই নিতে হবে।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল কাজীর দেউরি চত্বর থেকে শুরু হয়ে নুর আহমদ সড়ক হয়ে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর তাঁতীদলের সভাপতি সেলিম হাফেজ এবং সঞ্চালনা করেন তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুরাদ। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ছিদ্দিক।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,  মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর বিএনপির নেতা জাকির আহাম্মদ, তৌহিদুস সামাদ নিশাদ, নগর তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর হোসেন রমজান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ শাহ আলম, জাহিদ আনসারি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সালাউদ্দিন জনি, মোহাম্মদ কবির হোসেন, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ মামুন, টিটু, বেলাল মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কামাল হোসেন এবং বিভিন্ন থানার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিববৃন্দ।


বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করার যে অপচেষ্টা চলছে, তা কখনো সফল হবে না। তারা ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শক্তি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বশক্তি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

 
 

রিফাত

×