
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে প্রবেশাধিকার এবং ন্যায়বিচার সংক্রান্ত শেয়ারিং সভায় অভ্যন্তরীণ অভিবাসীরা যেন করে কোন রকম বৈষম্যের শিকার না হন, সেজন্য সজাগ থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজশাহী নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি এ সভার আয়োজন করে।
‘ফস্টারিং রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ফর ইন্টারনাল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ফ্যামিলিস’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মির্জা ইমাম উদ্দিন। সুব্রত পালের সঞ্চালনায় এসিডি প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. আব্দুল মতিন অনুষ্ঠানে প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, এসিডি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম পায়েল। তিনি প্রকল্পের মূল অর্জন, ফলাফল ও প্রভাব উপস্থাপন করার পাশাপাশি সকল অংশীজনের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মির্জা ইমাম উদ্দিন অভ্যন্তরীণ অভিবাসঅরা যাতে করে কোন রকম বৈষম্যের শিকার না হন, তার জন্যে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার করার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন সেবা গ্রহণে যাতে কোন রকম হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখার কথাও বলেন।
সভায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত হওয়ার বাস্তবতা, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় সরকারি সেবা গ্রহণে জটিলতা, স্থানান্তরের ফলে বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, অভিবাসীদের আইনি সহায়তা পাওয়ার সীমিত সুযোগ, অভিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে সভায় অংশ নেয়া অংশীজনদের কথায়।
সভায় অন্যদের মধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এটিএম গেলাম মাহবুব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিন বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের আইনি অধিকার এবং সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলো গণমাধ্যমে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়া, যাতে নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি বিবেচনায় আনেন। অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের জটিল বাস্তবতা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারলে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড একদিকে যেমন বেগবান হবে অন্যদিকে এসডিজি অর্জন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন।
মিরাজ খান