
ছবি: সংগৃহীত
মুকসুদপুরে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের মামলায় ৩৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ জুলাই) অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে আসামিরা গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হন। এদিন তারা নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জামিন মঞ্জুর না করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলা দায়ের পর আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন। রোববার (১৩ জুলাই) আসামিদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বাউল
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় গত ২৬ মার্চ রাতে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মীরকে গ্রেপ্তার করতে মুকসুদপুরের কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরায়। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যানের একদল সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান মীরকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মুকসুদপুর থানা পুলিশের এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ চার-পাঁচজন আহত হন। পরে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর মুকসুদপুর থানার এসআই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে পশারগাতী ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল কুমার দে, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মীরসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাই মামলার আসামিরা ছয় সপ্তহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। রোববার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। জামিনের মেয়াদ শেষে তারা সোমবার জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
সাব্বির