
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কাটা হচ্ছে সড়কের পাশের সরকারি গাছ
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সড়কের পাশের সরকারি ১৮টি আকাশমনি গাছ কাটা হয়েছে।
বাউফলের বগা–বাহেরচর আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর কাছিপাড়া গ্রাম থেকে এ গাছ কাটা হয়। গাছগুলো এলজিইডির বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সমর মাস্টার নামের এক ব্যক্তি কালিশুরি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল ফকিরের কাছে এ গাছগুলো বিক্রি করেন।
দুলাল ফকিরের শ্রমিকরা আজ রবিবার (১৩জুলাই) সকাল থেকে কাজ কাটা শুরু করে এবং বিকেল নাগাদ গাছগুলো কাটা শেষ করেন।
জানা গেছে, Human Rights and Peace for Bangladesh (HRPB) ২০২৪ সালের মে মাসে গাছ কাটায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন।
সরকারি কিংবা সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা অবৈধ। জেলা উপজেলায় কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটায় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধজ্ঞা আরোপ করা হয় ওই আদেশে।
এইসময় আদালত মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় গাছের সংখ্যা কম এবং দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত গাছ কাটা পরিবেশের ভারসাম্য ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এদিকে, গাছগুলো সরকারের নয়, তার ব্যক্তিগত বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত সমর মাস্টার।
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, সাধারণত সড়কের দুই পাশে সরকারি ভাবে আকাশমনি গাছ লাগানো হয়। যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তা আকাশমনি। সরকারি ভাবে সড়কের দুই পাশে লাগানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গায়েন বলেন, "গাছগুলো আমাদের না। আমাদের সবগাছ রাস্তা নির্মাণের জন্য বনবিভাগের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়েছে।" এ বিষয়ে বনবিভাগ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলেও জানান তিনি।
বাউফলের উপজেলা বন কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, "আমরা এলজিইডির কোনো গাছ কাটি নাই। প্রকৌশলী হয়তো দায় এড়াতে এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারিতে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়াই বন্ধ রেখেছি। এলজিইডির আমাদের জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।"
Mily