
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধ্যয়নরত হাতেম আলী কলেজের ছাত্র মোঃ মাহফুজুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী চক্র ও চোরাই মোবাইল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মাহফুজ ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ হারান। পরদিন তার নিথর দেহ বিআরটির একটি নির্মাণাধীন স্থানে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর র্যাব-১ ক্লুলেস এই হত্যা তদন্তে নামে এবং নিহতের মোবাইল ফোন সেট শনাক্ত করে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের সূত্র ধরে চোরাই মোবাইল কিনে নেওয়া এক গ্রাহককে আটক করে র্যাব। তার দেওয়া তথ্যে মোবাইল বিক্রেতা রাকিবকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, রাকিব একজন চোরাই মোবাইল ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন মাদক কারবারি। তিনি ছিনতাইকারীদের থেকে মোবাইল কিনে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন এবং ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্র সরবরাহও করে থাকেন।
রাকিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য মোঃ রাফসান ওরফে রাহাত (২৮), মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২০), মোঃ কাওছার আহম্মেদ পলাশ (২৩) ও মোঃ রাকিব ইসলাম (২৬)-কে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রথমে কাওছার আহম্মেদ পলাশ গ্রেফতার হলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছুরি ব্যবহারকারী রাশেদকে আটক করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একে অপরকে দোষারোপ করেন এবং ঘটনার দিন রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং ও কুর্মিটোলায় আরও ছিনতাই করার কথাও স্বীকার করেন।
র্যাব জানায়, এই চক্র ছিনতাইয়ের আগে মাদক সেবন করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে টার্গেট ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালায়। পলাশ ভুক্তভোগীর জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন এবং রাশেদ ভয় দেখানোর জন্য ছুরি ব্যবহার করেন। মাহফুজ প্রতিরোধ করলে রাশেদ
ফারুক