ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

মাদকের আখড়া ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের দুই ইয়ার্ড

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী 

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

মাদকের আখড়া ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের দুই ইয়ার্ড

ছবি: জনকণ্ঠ

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ ইয়ার্ড এলাকা এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব ইয়ার্ড ও ইয়ার্ডের সীমানা ঘেঁসে অন্তত, বিশ পয়েন্টে প্রকাশ্যে বসছে মাদকের হাট, যেখানে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, জুতার আইকা আঠাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য বেচাকেনা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ চুরি এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ের ইয়ার্ড ও সম্পদ দেখভালের দায়িত্বে থাকা কতিপয় সদস্যের যোগসাজশেই এই মাদকের কারবার চলছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যার ফলশ্রুতিতে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বিগ্নে ও নির্ভয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দা ও রেলওয়ের কর্মীরা জানান, সারাদিনই দক্ষিন ইয়ার্ডের সূইচ কেবিনের নিকটস্থ একটি ঝুপড়ি বাসা এবং উত্তর ইয়ার্ডের বাউন্ডারী সংলগ্ন একাধিক বাসা ও ইয়ার্ডের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রকার মাদকের ব্যবসা চলছে। সন্ধ্যার পর থেকেও এসব ইয়ার্ড এলাকায় মাদকসেবীদের আনাগোনা বাড়ে। মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রকাশ্যে এলোমেলো চলাচলের কারণে সাধারণ মানুষের পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা এবং স্বাভাবিকত চলাচল করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। 

প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিকিকিনির কারণে এলাকার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম চুরির আশংকা করছেন রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মচারিরা। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা কতিপয় প্রভুভক্ত হয়ে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধম‚ লক কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশন। এই এলাকায় মাদকের অবাধ বিচরণ কেবল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে না, বরং ট্রেনের সুষ্ঠু চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। সচেতন মহল দ্রুত এই মাদক কারবার বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। 

তারা বলছেন, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরি। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার এসআই আতিকুর রহমান চৌধুরী জানান, ওসি স্যার সাক্ষী দিতে বাইরে আছেন কাজেই এ বিষয়ে আমার পক্ষে বক্তব্য দেওয়া সমীচিন হবেনা।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন সুপারিটেন্ডন্ট (এসএস) মনিরুজ্জামান জানান, সদ্য যোগদান করেছি। অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

শহীদ

×