ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

জমিতে ধানের চারা লাগাতে পারছে না কৃষক

কুড়িগ্রামে বর্ষা মৌসুমে চলছে খরা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:২০, ১৩ জুলাই ২০২৫

কুড়িগ্রামে বর্ষা মৌসুমে চলছে খরা

জমির খেতগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা চলছে। মানুষের ঘরবাড়ি আবাদী জমি পানির নীচে তলিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। অথচ দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে ভরা বর্ষাকালেও খরা, রোদের তীব্রতায় মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। জমির খেতগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে। আমন আবাদ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে ফলন কম হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা।

এমনিতেই আমন আবাদ বৃষ্টি নির্ভর। এ সময় এ অঞ্চলের কৃষকরা সেচের ব্যবহার করে না। চলছে আষাঢ় মাস। বর্ষার ভরা মৌসুম। তবুও এ অঞ্চলে দেখা নেই বৃষ্টির। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে আছে আমন ধানের জমিগুলো। এমন অবস্থায় আমন চাষিরা পানির অভাবে জমিগুলোতে হালচাষ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে। খরায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। 
জমিতে হালচাষ দিতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রান্তিক কৃষকেরা। খাঁ খাঁ করছে মাঠের পর মাঠ। দিনের প্রখর রোদে মাটি শুকিয়ে ফেটে গেছে। কিছু নিচু এলাকায় ও সেচ এবং শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে কিছু জমিতে ধান রোপণ শুরু করলেও দু’তিন দিনের মধ্যেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ বীজতলা তৈরি হয়ে গেছে কৃষকদের। শুধু বৃষ্টি না হওয়ায় তারা জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না।

কৃষকরা জানায়, খরায় জমিতে ধানের চারা বপন করা যাচ্ছে না। খেত পুড়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এখনো জমিতে হালচাষ দেওয়া হয়নি। বৃষ্টি হলে এতদিন জমি তৈরি করা হতো। সময়মতো রোপা আমনের চারা রোপণ করা যেতো। কৃষকরা আরও জানায়, বৃষ্টির জন্য আবাদের ক্ষতি হচ্ছে। আষাঢ় মাস চলে যাচ্ছে এখনো জমি চাষ করতে পারছি না। ডিজেলের ও বিদ্যুতের দাম বেশি, কিভাবে চাষ করি। বৃষ্টি নাই। আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে সবজি খেতও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমি এত শুষ্ক সকালে পানি দিলে দুপুরে পানি থাকে না। 
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, গত দুই মাসে কুড়িগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কম। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬ গুণ বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। বর্তমানে রোপা আমন করাসহ জমি তৈরির জন্য বৃষ্টির দরকার। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি পুরোপুরি রোপণের সময় হয়ে যাবে। তখন সম্পূরক সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে ধান লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হবে।

×