ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

গফরগাঁওয়ে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, অপরজন নিখোঁজ—মুক্তিপণের ২৮ হাজার টাকাও কাজে আসেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ২১:১০, ১৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:১১, ১৩ জুলাই ২০২৫

গফরগাঁওয়ে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, অপরজন নিখোঁজ—মুক্তিপণের ২৮ হাজার টাকাও কাজে আসেনি

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাঁচবাগ ও দিঘীরপাড় গ্রামে একই দিনে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও অপরজনের কোনো সন্ধান এখনো মেলেনি। নিখোঁজ শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারে মুক্তিপণ বাবদ পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়ার পরও কোনো ফল মেলেনি।

গত শুক্রবার (১১ জুলাই) প্রবাসী নূর ইসলামের ছেলে সিফাত (৫) ও অপর প্রবাসী আল-আমিনের ছেলে আইয়ান সাদাব (৫) নিখোঁজ হয়। পরদিন শনিবার (১২ জুলাই) সকালে চরশাঁখচূড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।

অপরদিকে, নিখোঁজ সাদাবের পরিবারের অভিযোগ—অপরিচিত এক নম্বর থেকে শিশুটির মা সুমি আক্তারের কাছে ফোন করে প্রথমে ২০ হাজার ও পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে দুই দফায় বিকাশে মোট ২৮ হাজার টাকা দেওয়া হলেও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পর তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

সাদাবের নানা সুলতান মিয়া বলেন, “ওরা বলেছিল, টাকা দিলে গফরগাঁও রেলস্টেশনের জামতলী মোড়ে সাদাবকে রেখে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে পাইনি।” তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম জানান, নিখোঁজ শিশু সাদাবকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। সিফাত হত্যার ঘটনায় এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

নিহত সিফাতের মা কবিতা বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। একই এলাকার আরমান আমার মেয়েকে আগেও উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার আগের রাতে সে আবার হুমকি দিয়েছিল। আমি বিচার চাই, আমার নিষ্পাপ ছেলেটাকে কেন মেরে ফেলা হলো?”

আসিফ

×