ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

পাবনা-ঢাকা দ্রুত সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালুসহ চারদফা দাবি পাবনাবাসীর

রাকিবুল হাসান, পাবনা

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:৩৩, ১৩ জুলাই ২০২৫

পাবনা-ঢাকা দ্রুত সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালুসহ চারদফা দাবি পাবনাবাসীর

ছবি: সংগৃহীত

পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন সার্ভিস, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু, শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ ও আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে পাবনাবাসী। যেকোনো মূল্যে ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হরে এই সরকারকে। এ চারদফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে সংশ্লিষ্টদের চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্বর থেকে পুরো শহরজুড়ে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পাবনার রাজনৈতিক সংগঠনের চরম ব্যর্থতায় আমরা ট্রেনের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছি। এটা তো রাজনৈতিক দলের কাজ। পাবনা থেকে মাঝ পাড়া পর্যন্ত অকার্যকর একটি রেল লাইন চালু করা হয়েছে। সেটি কার্যকর করে দ্রুত পাবনা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালু করে ঢাকায় যাতায়াত সহজীকরণ করতে হবে। কাজিরহাটের ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তর করা হলে দু’ঘণ্টার পথ ১৫ মিনিটে পারাপার হওয়া যাবে। ঈশ্বরদী ইপিজেড, রপপুর প্রকল্পের জন্য বিমানবন্দর চালু করা হোক। যানজট নিরসনে পাবনা শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। পাবনা আটঘরিয়া হয়ে মাঝপাড়া দিয়ে ৩০ কিলোমিটার ঘুড়ে ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনছি। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না।’

‘যেকোনো মূল্যে পাবনা ঢাকা ট্রেন চালু করতেই হরে। তাছাড়া এটার জন্য সংশ্লিষ্টদের চরম মূল্য দিতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন শেষে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। আমাদের এই দাবি যেন অন্য দাবিতে পরিনত না হয়। আমরা সবদিক থেকেই বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নগরবাড়ি আরিচায় নতুন যমুনা সেতু নির্মাণ করা। দ্বিতীয় যমুনা সেতু এখান দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। ইছামতী নদী উদ্ধারে অনেক জটিলতা ছিল। এখন নদী খনন হচ্ছে। যারা মামলা করেছেন দ্রুত মামলা তুলে নিয়ে নদী খননের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করুন। এটা হলে পাবনাবাসীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়াও পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা, মানসিক হাসপাতাল সংস্কার করতে হবে। এটা জুলাইয়ের মাস। এই চত্বরেই দুজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছিল। এখনো ওসব খুনি গ্রেফতার হয়নি।’ বক্তারা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফার সভাপতিত্বে ও আতাইকুলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাজু ইসলাম ওলির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসাইন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, জামায়াতের পৌর আমির আব্দুল লতিফ, দেশ বরেণ্য শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, সাইদুল ইসলাম, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আলিম, এ্যাডভোকেট রানা, রোটারিয়ান বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, সমন্বয়ক শাওন হোসাইন, আইডিয়াল গ্রুপের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। মানবন্ধনে পাবনার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পাবনা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

রাকিব

×