ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ১০ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:৫৫, ১০ জুলাই ২০২৫

রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোন্দারদিয়া এলাকার শাহ মোঃ রাজন (২৮) হত্যায় জড়িত পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এই রায়ের সাথে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এ মামলার রায় প্রদান করেন ফরিদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ, ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ‌তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মধুখালী উপজেলার মোঃ আরমান হোসেন, মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলন, মোঃ মামুন শেখ, মোঃ আছাদ শেখ (পলাতক) ও মোঃ ইলিয়াছ মৃধা।

এদের মধ্যে একজন আসামি মোঃ আছাদ শেখ পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

উক্ত রায়ের সাথে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।‌

মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহ মোঃ রাজন গত ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিকাল বেলা মধুখালীর নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন। ওই দিন বিকেলে আসামিরা তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলটি মধুমতি নদীতে ফেলে দেয়। এরপর কুড়ানিয়ার চর এলাকার জনৈক সিদ্দিক মাষ্টারের বাগানে নিয়ে রাজনকে আসামি আছাদ শেখ ও মামুন শেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন ধারালো অস্ত্র দিয়া কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ওই বাগানের ভিতর থাকা পুকুরের পূর্ব পাড়ের চালায় মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখেন।

এরপর আসামি আরমানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে থানা পুলিশ তার দেখানো মতে গত ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টার সময় উক্ত স্থানের মাটি খুঁড়ে রাজনের লাশ উদ্ধার করে। এর পরের দিন ৩ এপ্রিল তার মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ‌

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাজন হত্যা মামলায় আমরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

রাকিব

×