ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা 

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ১০ জুলাই ২০২৫

বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা 

বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

পিরোজপুরের নেছারাবাদে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে সভাপতি পদে দু'টি গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও সভাপতি প্রার্থী মো: কাজী কামাল হোসেন। বুধবার (০৯ জুলাই) সন্ধ্যার পরে জগন্নাথকাঠি বাজারের সুপারি হাট সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনায় আসন্ন স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দু'টি গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পৌর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা কর্মীরা বলছেন সুষ্ঠভাবে কাউন্সিল না হলে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা  রয়েছে। উভয় গ্রুপের মধ্যে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে।

সমাবেশে কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী মো: কাজী কামাল হোসেন বলেন, সতের বছর পর একটি সুষ্ঠ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বিএনপির পার্টি অফিসে সুষ্ঠভাবে কাউন্সিলসহ ভোটার তালিকা সম্পন্ন করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলা নেতৃবৃন্দ আসেন। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ফরিদ উপজেলার পূর্ব পাড়ের ৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা থেকে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী এনে আমিসহ আমার অনুসারিদের উপর হামলা চালায়। 

তিনি অভিযোগ করেন, সভাপতি পদে শফিকুল ইসলাম ফরিদ আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট হাসিনার দোসরদের সাথে সতের বছর আতাত করে চলেছে। সে গত পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিল। সেখানে টাকার বিনিময়ে ধানের শীষ বিক্রি করে পরাজয় বরণ করে নিয়েছিল। এখন তার জনপ্রিয়তা শূণ্যেরকোঠায়। পৌর বিএনপির কাউন্সিল নির্বাচনে নিজের পরাজয় নিশ্চিত ভেবে ওই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন এতে আমার ৪ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। কাজী কামাল অবিলম্বে সুষ্ঠভাবে কাউন্সিলসহ হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী মো: শফিকুল ইসলাম ফরিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "কাউন্সিলে পৌর ওয়ার্ড কমিটির লোকেরা ভোটার হয়ে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির নেতা নির্বাচিত করবেন। কাজী কামাল গ্রুপ ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে নিজের অনুসারি আওয়ামী দোসরদের ভোটার বানাচ্ছিল। গতকাল ভোটার তালিকা সম্পন্ন করার সভায় ওয়ার্ডের দলীয় লোকেরা উপস্থিত জেলা নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন। এতে কাজী কামাল ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো আমার ছেলেসহ আমার দুইজন অনুসারিদের উপর হামলা চালায়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বনি আমীন সাংবাদিকদের জানান, "দু’টি গ্রুপের একটি মারামারি হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে, এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেইনি। 

তাসমিম

×