
ছবি: প্রতীকি
বরগুনার আমতলীতে বাইপাস রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আটজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৭ জুলাই) রাতে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ী স্ট্যান্ড এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালে একটি স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য চলাচলের বিকল্প হিসেবে ঠিকাদার বাদশা মিয়া একটি বাইপাস রাস্তা তৈরি করেন। তবে টানা বৃষ্টির কারণে ওই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ নিয়ে গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় স্থানীয় কয়েকজন—including জাহাঙ্গির মৃধা, আব্বাস মৃধা এবং ওমর আলী চৌকিদার—ঠিকাদারকে রাস্তাটি সংস্কারের পরামর্শ দেন। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এর জের ধরে গত শনিবার ওমর আলী চৌকিদার এবং প্রতিবেশী মনির প্যাদার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষই ওই দিন রাতে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি মীমাংসায় আনার জন্য সোমবার রাতে একটি শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই দুই পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কালাম দফাদার, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুল্লাহ, মাহবুব, ওমর আলী চৌকিদার, সুজন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা ও মনির প্যাদাকে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আব্বাস মৃধা ও আবু বকর স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে কালাম দফাদারের ওপর মনির প্যাদার লোকজন হামলা চালায়, এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম পুলিশ আবু কালাম জানান, তার ভাইকে মারধরের ঘটনার বিচার হওয়ার আগেই মনির প্যাদা ও তার দুই ছেলে হামলা চালায়। অন্যদিকে, মনির প্যাদা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলেসহ আমাদের ওপরই প্রথম হামলা হয়েছে।”
এ বিষয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু বকর বলেন, "আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে।"
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, শালিস বৈঠকের পূর্বেই সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নুসরাত