ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

বিরামহীন বৃষ্টিতে কলাপাড়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৮ জুলাই ২০২৫

বিরামহীন বৃষ্টিতে কলাপাড়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে

ছবি: জনকণ্ঠ

কয়েকদিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে উপকূলীয় পটুয়াখালীর সাগরপারের জনপদ কলাপাড়ায় জনদুর্ভোগ বহুগুণে বেড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। খাল-বিল সব পানিতে থৈ থৈ করছে। মাইলের পর মাইল চাষের জমিতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে একাকার হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে মানুষ কার্যত ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌর শহর থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষ পর্যন্ত জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন।

বৃষ্টির পানিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত ৩০ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিধ্বস্ত দশা হয়েছে। যান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। একইভাবে অধিকাংশ কাঁচা মাটির সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। পাঁচ-ছয় ইঞ্চি গভীরতার কাদামাটি পেরিয়ে চলাচল করতে মানুষের অসহনীয় ভোগান্তি হচ্ছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে।

টিয়াখালীর বাসিন্দা অটোচালক ইব্রাহীম হাওলাদার বলেন, ‘এমনিতেই অনেক পাকা রাস্তা আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন লাগাতার বৃষ্টিতে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। গাড়ি চলাচল করা যায় না।’

একই দশা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার অন্তত ৩০ কিলোমিটার পাকা সড়কের। জনভোগান্তির শেষ নেই। টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বহুগুণে বেড়েছে।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ জেহাদি জানান, তাঁর ইউনিয়নে যোগাযোগের একমাত্র পথ ডালবুগঞ্জ বাজার থেকে তুলাতলী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পাকা ও ইট-বিছানো সড়ক আগেই ভেঙে গেছে। এই কয়দিনের বৃষ্টিতে এখন চরম দুরাবস্থা হয়েছে। যান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে।

বৃষ্টির এই ধারা আরও একদিন থাকবে বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দেওয়া আছে। কলাপাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, লঘুচাপের প্রভাবে মেঘবলয় সৃষ্টির কারণে বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে। আগামিকাল বুধবার নাগাদ বৃষ্টির ধারা থাকবে, এরপর কমতে পারে।

খেপুপাড়া রাডার স্টেশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, কলাপাড়ায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বিরামহীন এই বৃষ্টিতে কলাপাড়ায় পায়রাবন্দরসহ গোটা উপকূল জুড়ে জনজীবনে ভোগান্তির শেষ নেই। শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি।

মুমু ২

×