
সেনা অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলকার একটি পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সামরিক শাখা কেএনএ-এর কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছে। এ অভিযানে তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে ৩টি এসএমজি, ১ টি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এছাড়া এ অভিযান চলমান রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, জেলার রুমা উপজেলার মুয়ালপি ও প্রাংশা পাড়ার মাঝামাঝি নাইতংঝিরি এলাকায় কেএনএফ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রুমা সেনা জোনের একটি বিশেষ টহল দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেনা টহল দলের ওপর সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় কেএনএফ দুই সদস্য নিহত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত থেকে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দুর্গম পাড়ায় কেএনফের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে আশপাশের এলাকার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার নয়টি উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় তারা। এই সংগঠনটির সঙ্গে দাফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর আলোচনার টেবিলেও বসে তারা।
এ অবস্থায় জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা করে টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটায় সংগঠনটি। গেল দুই বছরে এ সংগঠনটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ৬ সেনাসহ বিভিন্ন সময় ২৭ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় কেএনএফ সন্দেহে দেড় শতাধিক লোকজনকে।