ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধের জেরে হামলা,পুলিশসহ আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৩০ জুন ২০২৫

প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধের জেরে হামলা,পুলিশসহ আহত ১৫

প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে দুই গ্রুপের চলমান বিরোধের জেরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ জন সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাল ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জনকণ্ঠকে বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। প্রেসক্লাবে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। দুই গ্রুপের হাতাহাতি ঠেকাতে গিয়ে তার তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

প্রেসক্লাবে সাধারণ সভা করতে এসে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগ করে এক গ্রুপের সভাপতি আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, তারা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রেসক্লাবে সাধারণ সভা করতে এলে প্রেসক্লাবে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বাণের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে আবুল কাশেম অভিযোগ করেন।

আবুল কাশেমের অভিযোগ, প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণে থাকা এক গ্রুপের সভাপতি আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

সদর থানার ওসি এই হামলা ও সংঘর্ষে সব মিলিয়ে ১৫ জন আহত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

অপরদিকে প্রেসক্লাবের অপর গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি আব্দুল বারী জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিপক্ষ গ্রুপ প্রেসক্লাব দখল করতে এলে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে তাদের গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

দুই পক্ষের উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকাল থেকে প্রেসক্লাবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটু বাইরে গেলেই প্রতিপক্ষ গ্রুপ প্রেসক্লাব দখলের চেষ্টা করে।

এই ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি।

সানজানা

×