
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের বিদেশ-ফেরতদের জরুরি সেবা পাওয়া যাবে। দেশে আসা মাত্রই বিমানবন্দর থেকে ব্রাকের অভিবাসী সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি প্রসারিত করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিমানবন্দরের সম্মেলন কক্ষে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, দেশে ফেরার পরপরই বিমানবন্দর থেকেই বিদেশফেরতরা সহায়তা পাবেন। ব্র্যাকের সহকারী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান সভায় একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, “ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো সিলেটেও আমরা বিদেশফেরতদের পাশে থাকছি। গত আট বছরে ব্র্যাক ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে জরুরি সহায়তা দিয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে করি, বিমানবন্দরে এ সহায়তায় একটি কাঠামো (এসওপি) থাকা উচিত।”
তিনি আরও জানান, ‘প্রত্যাশা-২’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে অন্তত ১০ হাজার মানুষ এ সহায়তা পাবেন এবং ৭ হাজার ৭০০ বিদেশফেরত ব্যক্তিকে অর্থ উপার্জনে সক্ষম করতে ধাপে ধাপে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ। তিনি বলেন, “সেবা মানে মানবিকতা। প্রবাসীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে সবাইকে। আমরা এই কাজটা সবসময় করার চেষ্টা করি।”
তিনি আরও বলেন, “অভিবাসনপ্রবণ জেলা হওয়ায় বিদেশ থেকে ফেরত আসার তালিকায়ও সিলেটের অনেক মানুষ আছেন। ঢাকার পাশাপাশি যেহেতু সিলেটেও অনেক ফ্লাইট আসে, তাই অনেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই ফেরত আসেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এখানে বিদেশ-ফেরতদের নানা জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে বলে আমরা মনে করি।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রবাসীকল্যাণ শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা পলি রাণী দেব বলেন, “প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে। পাশাপাশি তারা যেন রেমিট্যান্স-বিনিয়োগের বিষয়ে সচেতন থাকেন সেটা নিশ্চিত করতে শুধু অভিবাসীদেরকেই না, তাদের পরিবারকেও আমাদের সচেতন করে তুলতে হবে। সভায় অংশ নেন বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ, উপপরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুস সাকিব, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর প্রধান ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
রাজু