
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দি এলাকা থেকে দুই যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপনের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন রেখা আক্তার বাদি হয়ে মঙ্গলবার সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের কুমারচর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে মো.স্বাধীন মিয়া, ভাটিরচর এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে ফয়সাল মিয়া, নাজিরপুর এলাকার আক্কেল আলীর ছেলে রাব্বানী হোসেন মুন্না, বন্দর উপজেলার ছোটবাগ গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন ও গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে রাশেদ ওরফে রাসেল।
জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার ময়নামতি মীরপুর গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. শাকিল মিয়া ও তার বন্ধু মৌলরদী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে শাওন মিয়া গত রোববার বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে বালু ব্যবসায়ের কাজে মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় যান। পরে অজ্ঞাতনাম ৪-৫জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাদের জোরপূর্বক টেনে হেচড়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে নির্যাতন করে। তাদের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে অপহৃতদের পরিবার তাদের বিকাশের মাধ্যমে দু’দফায় ২৫ হাজার টাকা দেয়। পরদিন সোমবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা টের পেয়ে স্বাধীন ও ফয়সাল নামের দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। তাদের দেওয়া তথ্যে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই রাব্বানী হোসেন মুন্না, সাজ্জাদ হোসেন, রাশেদ ওরফে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, অপহরণ করে দুই যুবককে নির্যাতন ও মুক্তিপন নেওয়ার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাজু