
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, পার্থেনিয়াম নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক গবেষনার প্রয়োজন। আতংকিত না হয়ে সঠিক পদ্ধতিতে এর নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। সেই সাথে নিজে ও অপরকে সচেতন করতে হবে। ক্ষতিকর গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম নিধন ও উদ্বুদ্ধকরণ কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ইয়াহান সামাজিক সংঘের উদ্যােগে সদর উপজেলার হাশিমপুরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, পার্থেনিয়ামের ক্ষতি এড়াতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এখন সাধারণ মানুষের সতর্কতা প্রয়োজন। যাতে সম্মিলিতভাবে একে রোধ করা যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, পার্থেনিয়াম শুধু পরিবেশের ক্ষতি করে না। মানুষ ও পশুর মৃত্যুর কারণও। এর বিস্তারে ফসলের উৎপাদনও ৪০ শতাংশ কমে যায়। পার্থেনিয়ামের বীজ ১০ বছর পর্যন্ত মাটিতে জীবিত থাকতে পারে। এটি দ্রুত ও সহজে বিস্তার লাভ করায় এর ক্ষতির দিক তুলনামূলক বেশি। তিনি আরও বলেন, পার্থেনিয়াম আগাছা হাত দ্বারা স্পর্শ করলে বা চটকালে ছোট থেকে পরবর্তীতে বড় ধরনের রোগ দেখা যায়।
প্রাথমিক অবস্থায় হাত-পা চুলকায়, লাল হয়ে যায় এবং বৃহৎ আকারে ত্বকে ক্যানসারের সৃষ্টি করে। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘন ঘন জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং অসহ্য মাথা ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হক বলেন, গবাদিপশু চরানোর সময় এর গায়ে লাগলে পশুর শরীর ফুলে যায়। এছাড়াও তীব্র জ্বর, বদহজমসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। যকৃত পঁচে যায়। বিশেষ করে গাভী পার্থেনিয়াম খেলে দুধ তিতা হয়। ওই দুধ অনবরত কেউ খেলে সেই মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। পার্থেনিয়াম গাছ খেলে গবাদি পশু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই ভাইরাস আক্রান্ত পশু জবাই করে এর মাংস খেলে মানুষের শরীরও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। যার ফলে মানব শরীরে দেখা দেয় এজমা, ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসে ক্যানসার সহ বিভিন্ন রোগ।
ইয়াহান সামাজিক সংঘের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফকরউদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ইয়াহান সামাজিক সংঘের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা পল্লব, সদস্য মিলন শেখ, ইয়াহান কবর খনন সংস্থার আহ্বায়ক আদনান সিদ্দিকী রোমেল, সদস্য সচিব আব্দুল আজিম, সদস্য আসিফুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. রায়হান সিদ্দিক।
রিফাত