ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের ৩০ কিলোমিটার অংশ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথর উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে টিউমার (উঁচু হয়ে ওঠা অংশ)। যার ফলে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের উপর একাধিক স্থানে বৃষ্টির পানি জমে সড়কের মধ্যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও শেখ রাসেল মিনি স্টুডিয়ামের সামনে মহাসড়কের অংশ ধসে পড়েছে। রুহিতারপাড় নামক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ধসে পড়ে রয়েছে। সড়কের মাঝখানে দেখা দিয়েছে ফাটল। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ধসে পড়া অংশে স্থানীয় লোকজন একটি বাঁশ গাছের সঙ্গে কাপড় টানিয়ে বিপদ সংকেত দিয়ে রেখেছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশপথ হলো বরিশাল-বাকেরগঞ্জ মহাসড়ক। বিগত সময়ের তুলনায় এই সড়কে এখন যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা নেই।
এই সড়কের যানবাহন চালকরা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মাঝেমধ্যে নামেমাত্র খানাখন্দ মেরামতের কাজ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের খানাখন্দ সংস্কার, টিউমার অপসারণ ও ধসে যাওয়া অংশ মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, বরিশাল-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের বরিশাল এরিয়ার মধ্যে খেজুরতলা হতে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে কোনো সমস্যা থাকলে সরেজমিনে গিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সংস্কার করা হবে।
সানজানা
