
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জুলাই আন্দোলনের এক সমন্বয়ক সহ তিন জনের ওপর হামলা করেছে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। হামলায় নেতৃত্বদানকারী জাকারিয়া (৩০) স্থানীয় জব্বার মোল্লার ছেলে। সে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া জব্বার মোল্লার অপর এক ছেলে নেয়ামত উল্লাহ (১৯), মাহমুদ হাওলাদারের ছেলে আবির (২০), শওকত মোল্লার ছেলে সাকিব (১৯) সহ দশ -বারোজন হামলায় জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত পৌনে নয়টায় উপজেলার মৌডুবী বাজারের উত্তর পাশে ব্রীজের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত মো: সামীর (২৩) স্থানীয় আবু জাফর মাঝির ছেলে। তিনি জুলাই আন্দোলনে নারায়নগঞ্জ জেলার সহ সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি। আহত অপর তিন জন হলেন স্থানীয় আনসার সরদারের ছেলে মোহন (২৭) এবং নাসির গাজীর ছেলে রাশেদ (৩৫)।
জানা যায়, ' সামীর সহ তিনজন বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জাকারিয়া, নেয়ামত উল্লাহ, আবির, সাকিব সহ দশ-বারোজন অতর্কিত হামলা করে। উপর্যুপরি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। বেধরক মারধরে সামীরের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়। মোহনের শরীরে লাঠির আঘাত ও কিল-ঘুষিতে একাধিক স্থান ফেটে রক্ত বের হয়েছে। ছাড়াতে গেলে রাশেদকেও বেধরক মারধর করা হয়েছে।'
আহতদের মৌডুবী বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। আহত ছাত্র সমন্বয়ক সামীর জানান, আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত হামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
হামলায় নেতৃত্বদানকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকারিয়া জানান, 'কয়েক বছর আগে সামীরের ভাই আমাকে অপমান করেছে। তার কোনো সমাধান হয়নি।'
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো: এমারত হোসেন বলেন, 'হামলার ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
ফারুক