ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গন ও দই শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নুরুল আলম টুটুল আর নেই

মাহফুজ মণ্ডল, বগুড়া

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ৩১ জুলাই ২০২৫

বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গন ও দই শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নুরুল আলম টুটুল আর নেই

ছবি: সংগৃহীত।

বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ, সাবেক প্রতিভাবান ভলিবল খেলোয়াড়, গুণী ক্রীড়া সংগঠক এবং বিখ্যাত দই প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া সুইটস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নুরুল আলম টুটুল আর নেই।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে বগুড়ায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।

নুরুল আলম টুটুল শুধু একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদই ছিলেন না, ছিলেন নতুন প্রজন্মের ক্রীড়াবিমুখ তরুণদের ক্রীড়ামুখী করে তোলার এক অনন্য কারিগর। বহু তরুণ খেলোয়াড় তাঁর হাতে গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন তিনি ভলিবল খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনে রেখেছেন বিশিষ্ট অবদান।

১৯৮৫ সালে তিন ভাই মিলে এশিয়া সুইটস প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুটা ছিল একটি ছোট চায়ের দোকান থেকে। পরে ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার দই ও মিষ্টির বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে রূপ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৬ সালে রিয়াজ কবিরাজের সহায়তায় দই উৎপাদনের নতুন ধারা শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় ১,০০০ কেজি দই উৎপাদন করে, যা দেশের নানা প্রান্তে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

বগুড়ার ৪০০ দই কারখানার মধ্যে এশিয়া সুইটস সবচেয়ে মানসম্পন্ন ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।

নুরুল আলম টুটুলের মৃত্যুতে বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সংগঠন, এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, “নুরুল আলম টুটুল ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর অবদান বগুড়ার ক্রীড়া ও খাদ্য সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী, পরিবার এবং এক অনন্য ইতিহাস। বগুড়ার মাটি তাঁর অবদানে চিরঋণী হয়ে থাকবে।

মিরাজ খান

×