
ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন একরামুল ইসলাম। ঈদুল আজহার দুইদিন আগে ৮ ঘণ্টার রাস্তা ১৮ ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে রংপুর নগরীর শালবনস্থ সুগন্ধা নামক নিজ বাড়িতে এসেছেন। ভেবেছিলেন ঈদের ছুটি ভালোভাবে কাটিয়ে চাকরিতে যোগ দিবেন। তার ঈদ উদযাপনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রচণ্ড তাপদাহ।
কয়েকদিন থেকে রংপুর এবং আশপাশ এলাকায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। তপ্ত আবহাওয়ার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি তিনি। কোন আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে পারেননি। এক প্রকার ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি গরমের কারণে। তার মত রেজাউল ইসলাম ও মনা ঈদ করতে এসেছেন ছেলে মেয়েকে নিয়ে। প্রচণ্ড গরমের কারণে কোথাও বের হতে পারেননি। ঈদ উদযাপন করতে এসে তাপদাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন। গরমের কারণে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছেন না।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর ও আশপাশ এলাকায় কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। আকাশে মেঘের কোন ছিটেফোটা নেই। আকাশে মেঘ না থাকার কারণে সূর্যের কিরণ সরাসরি ভূপৃষ্ঠের ওপর পড়ছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের খুব তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয়ে পড়ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষজন এবং জীবজগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রায় ঘরেই জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে। প্রাণী জগতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গরু, হাঁস-মুরগির খামারীরা তাদের পশুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন। তপ্ত রোদের কারণে রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
নগরীর খাসবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি পুকুরে কিশোর-যুবক এবং বয়স্ক বেশ কয়েকজন সাঁতার কাটছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে।
রাজু