বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বগুড়া অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, “আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা যদি মৃত্যুর মুখোমুখি না হতো, তাহলে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেতাম না এবং দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হতো না।”
শুক্রবার সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সেটকম অ্যাগ্রো পার্কে (সাবেক সাউদিয়া পার্ক) শাহ্ বন্দেগী ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের আয়োজনে দিনব্যাপী ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ যেন আর কখনও অগণতান্ত্রিক শক্তির কবলে না পড়ে, সে বিষয়ে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তারুণ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “যুবকরাই দেশের প্রাণশক্তি। তারুণ্যের উজ্জ্বল চোখেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। এই যুব সমাজকে যদি আদর্শ ও চেতনার সঙ্গে গড়ে তোলা যায়, তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় আশানুরূপ পরিবর্তন আসবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও শেরপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান।
বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ মানছুরুর রহমান ও বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাচিয়া) আসনের মনোনীত প্রার্থী ও গুনাহার ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আবু তাহের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ বন্দেগী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোঃ কাউছার আলী এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি প্রভাষক মোঃ ইমরান হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা প্রচার সেক্রেটারি ইফতেখার আলম, যুবনেতা মাসুদ রানা, সাইয়্যেদুল আলমসহ যুব বিভাগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দিনব্যাপী এই পুনর্মিলনীতে প্রায় পাঁচ শতাধিক যুবক অংশগ্রহণ করেন। প্রাণবন্ত আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সজিব
